
ছবি: সংগৃহীত
লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে দেশের রাজনীতির জন্য একটি "ইতিবাচক পদক্ষেপ" বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।
এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “রাজনৈতিক সংকটের সমাধান রাজপথে সম্ভব নয়। বরং তা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলতে পারে। তাই এই শীর্ষ পর্যায়ের সংলাপ দেশের বৃহত্তর স্বার্থে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের দিকনির্দেশনা দিতে পারে বলে আমরা আশা করছি।”
ড. মজুমদারের মতে, একজন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এবং অন্যজন দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতা হওয়ায়—এই দুই নেতার বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো জাতি। কী ফলাফল আসবে লন্ডনের এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে? ভোটের সময়সূচি, ‘রাষ্ট্র সংস্কার জুলাই সনদ’, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামোসহ নানা বিষয়ে কোনও সমঝোতা হবে কি না—তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা চলছে।
বদিউল আলম বলেন, “আমরা অতীতে দেখেছি, রাজপথে সমাধান খোঁজার চেষ্টা বরং সংঘাতকেই বাড়িয়েছে। রাজপথে সমস্যা সমাধান হয় না, বরং সেটি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এই বৈঠক যদি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি করতে পারে, তাহলে তা হবে গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় অর্জন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করি, এই আলোচনার মাধ্যমে মতবিরোধ নিরসন হবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তারা একটি জাতীয় ঐক্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।”
বৈঠকটির পর বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরাও। দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
ফারুক