ছবি: প্রতীকী
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত, দেশ-বিদেশে পলাতক এবং ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত—এই তিন শ্রেণির ব্যক্তিদের পাসপোর্ট নবায়ন ও ইস্যু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে জরুরি ভিত্তিতে তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, এটি আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত। সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ৪ মে, যেখানে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর যেসব ব্যক্তি পতিত সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন এবং বিচার এড়িয়ে দেশত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অন্যত্র পলাতক রয়েছেন, তাদের একটি অংশ বর্তমানে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করেছেন বা ভবিষ্যতে করতে পারেন—এমন তথ্য সরকারের কাছে এসেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের আবেদন অনুমোদন করা প্রচলিত আইন, বিধিমালা এবং ন্যায়বিচারের স্বাভাবিক প্রবাহের পরিপন্থী। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুতর ঝুঁকি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশি-বিদেশি পলাতক ও ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের তালিকা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সব দূতাবাস ও বিদেশি মিশনে পাঠানো হবে। এসব তালিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাসপোর্ট বাতিল এবং নতুন পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাকিব
