
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ যখন একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে রয়েছে, ঠিক তখনই ভারতের কিছু গণমাধ্যম দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মিথ্যাচার করে মোদি সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। বিশেষ করে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে থাকার কারণে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন-নিউজ ১৮ (CNN-News 18)’ একটি বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের মধ্যে ‘ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং আস্থার সংকট’ এর কথা বলা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে ‘ভুয়া ও প্রোপাগান্ডামূলক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘সিএনএন নিউজ ১৮’ এর প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশের বাইরে থাকাকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে খলিলুর রহমানকে নিয়োগ দেন, যা নাকি সেনাবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে। যদিও এই পুরো দাবি ভিত্তিহীন। তবুও এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এই ধরনের খবর সাজানো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি পেশাদার ও জাতির প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যা এ ধরনের মনগড়া সংবাদকে যৌক্তিকতা দেয়। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার ঘনঘন বিদেশ সফর, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা কিংবা সেনাবাহিনীর উপর চাপ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।
বাস্তবতা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সেনাবাহিনী সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ ভূমিকা বজায় রাখছে। বাংলাদেশের জনগণ এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। যতই প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হোক বাংলাদেশের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা থামবে না, এমন বার্তাই দিচ্ছে সরকার ও সামরিক বাহিনী।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=__0eojcPH2o
রাকিব