
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫টি। এর মধ্যে নতুন করে ২৪টি পণ্য পেয়েছে জিআই নিবন্ধন সনদ। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব পণ্যের নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করা হয়।
নতুনভাবে জিআই সনদ পাওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে—সিরাজগঞ্জের গামছা ও লুঙ্গি, মিরপুরের কাতান শাড়ি, সিলেটের মণিপুরি শাড়ি, কুমিল্লার খাদি, কুমারখালীর বেডশিট, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা ও এর বীজ-গাছ, মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ, নওগাঁর নাক ফজলি আম, মুন্সিগঞ্জের পাতক্ষীর, দিনাজপুরের বেদানা লিচু, বরিশালের আমড়া, অষ্টগ্রামের পনির, কিশোরগঞ্জের রাতা বোরো ধান, গাজীপুরের কাঁঠাল, শেরপুরের ছানার পায়েস, সুন্দরবনের মধু, গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, মাগুরার হাজরাপুরী লিচু, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, মধুপুরের আনারস এবং নরসিংদীর লটকন।
এর আগে নিবন্ধিত ৩১টি পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—টাঙ্গাইল শাড়ি, জামালপুরের নকশিকাঁথা, রাজশাহীর মিষ্টি পান, যশোরের খেজুরের গুড়, মৌলভীবাজারের আগর আতর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন জাতের আম, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, শীতল পাটি, ইলিশ মাছ ও জামদানি শাড়ি।
বাংলাদেশে ২০১৩ সালে ‘ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন’ প্রণয়ন করা হয়। ২০১৫ সালে এই আইনের বিধিমালা জারি করার পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পেটেন্টস, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) জিআই পণ্যের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে।
ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের মূল বৈশিষ্ট্য হলো—তা কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল, পরিবেশ বা সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং ঐতিহ্যবাহী। এমন পণ্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি দেশের স্বকীয়তা ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একবার কোনো পণ্য জিআই সনদ পেলে, সেই পণ্যের ওপর সংশ্লিষ্ট এলাকার একচেটিয়া স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
জিআই সনদ প্রাপ্তির ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়ে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এসএফ