ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মালয়েশিয়া, ইরানসহ যেসব দেশে ইসকন নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ২৯ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৬:২৫, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

মালয়েশিয়া, ইরানসহ যেসব দেশে ইসকন নিষিদ্ধ

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন), যা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ নামে পরিচিত। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশে সংগঠনটির কার্যক্রম  বিস্তৃত হলেও বেশ কিছু দেশে এটি নিষিদ্ধ।
১৯৭০-৮০ এর দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে পরে এর কার্যক্রম আবার শুরু করে। 

চীনে ইসকনসহ বিদেশি ধর্মীয় সংগঠনগুলোর প্রকাশ্যে কাজের অনুমতি নেই।
মালয়েশিয়াতে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগে ইসকন নিষিদ্ধ। ইরান, সৌদি আরব ও আফগানিস্তানেও ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ।

ইন্দোনেশিয়ায় ইসকনের কার্যক্রম কিছু শর্ত সাপেক্ষে পরিচালিত হয়। এছাড়া তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তানে ইসকনের ওপর কঠোর নজরদারি রয়েছে।
ইসকন ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই এবং ইসরায়েলসহ বহু দেশে সক্রিয়। এছাড়া মেক্সিকো, কানাডা, জাপান, থাইল্যান্ড ও মরিশাসেও সংগঠনটির কার্যক্রম রয়েছে।
বাংলাদেশে ইসকনের কার্যক্রম সত্তরের দশকের শুরুতে শুরু হয়।  সংগঠনটি ধর্মপ্রচার, মন্দির পরিচালনা এবং বার্ষিক রথযাত্রা উৎসব আয়োজন করে থাকে। ভক্তরা নিয়মিত কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

১৯৬৬ সালের ১৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। বৈষ্ণব ধর্মের অংশ হিসেবে ইসকন মূলত ভগবান কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে তাদের আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ইসকনের মূল কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে: মন্দির নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, ধর্মীয় উপদেশ ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম, শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রচার, দাতব্য সংস্থা পরিচালনা, যোগব্যায়াম এবং জীবনধারার ওপর প্রশিক্ষণ

নাহিদা

×