ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১

বিবাহবিচ্ছেদে কে এগিয়ে, নারী নাকি পুরুষ?

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিবাহবিচ্ছেদে কে এগিয়ে, নারী নাকি পুরুষ?

বিবাহবিচ্ছেদে কে এগিয়ে, নারী নাকি পুরুষ?

সিলেটে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা। চলতি বছর নগরীতে বিচ্ছেদের আবেদন পড়েছে ২৫৩টি। যার অধিকাংশই করা হয়েছে স্ত্রীর পক্ষ থেকে। ২৫৩টির মধ্যে ১৩৯টি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনই নারীর। শুধু সিলেট জেলায় গত আট মাসে তালাক হয়েছে ২ হাজার ১৩৯টি। সেক্ষেত্রেও এগিয়ে নারীরাই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত বেশি বিবাহবিচ্ছেদের নেপথ্যে রয়েছে পরকীয়ার মতো অবৈধ সম্পর্ক। ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে বিয়ে করছেন তরুণ-তরুণীরা। পরিবার শেষ পর্যন্ত সম্মতি দিলেও কোনোকিছুর দায়ভার নিচ্ছে না। ফলে পারিবারিক কলহ বাড়ছে। কমছে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও অনুশাসন মানার প্রবণতা। বিচ্ছেদ হচ্ছে বেশি।

কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর ডিভোর্সে সন্তানদের জীবনে অনিশ্চয়তা নেমে আসছে। দেখা দিচ্ছে মানসিক সমস্যাও। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ। পরকীয়া ছাড়াও শারীরিক অক্ষমতা, পারিবারিক কলহ এবং যৌতুককেও বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর থেকে উত্তরণে পারিবারিক সচেতনতার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে।

জানা যায়, সিলেট সিটিতে গত আট মাসে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য মোট আবেদন জমা পড়ে ২৫৩টি। গত জানুয়ারিতে স্বামী কর্তৃক ৩২ ও স্ত্রী কর্তৃক ৫০; ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ ৭ ও নারী ১৩; মার্চে পুরুষ ১৬ ও নারী ১৪; এপ্রিলে পুরুষ ১৫ ও নারী ১৪; মে মাসে পুরুষ ৯ ও নারী ১৪; জুনে পুরুষ ১৮ ও নারী ১৬; জুলাইয়ে পুরুষ ৮ ও নারী ১০ এবং আগস্টে পুরুষ আবেদন করেছেন ৯টি ও নারী আবেদন করেছেন আটটি। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সিলেট সিটি করপোরেশন বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর করেছে ৫২টি।

জেলা বিবাহ রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট বিবাহ নিবন্ধনের সংখ্যা ২০ হাজার ৯২৩টি। বিপরীতে তালাকের সংখ্যা ২ হাজার ১৩৯টি।


 

তাসমিম

×