ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ডাক বিভাগের পোস্ট ই-সেন্টারে দক্ষ উদ্যোক্তাগণের স্বপদে বহাল রাখার দাবি

প্রকাশিত: ২০:০০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ডাক বিভাগের পোস্ট ই-সেন্টারে দক্ষ উদ্যোক্তাগণের স্বপদে বহাল রাখার দাবি

মানববন্ধন

আমরা পোস্ট ই-সেন্টারের উদ্যোক্তাগণ, প্রধানমন্ত্রীর এক মহান উদ্যোগে ২০১৪ সাল থেকে পোস্ট ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি প্রকল্পের মাধ্যমে ডাক অধিদপ্তর কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে ভিশন’২১ বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করি। প্রাথমিক পর্যায়ে সারাদেশে ৮৫০০ পোস্ট ই-সেন্টার স্থাপিত হয় এবং প্রত্যেক পোস্ট ই-সেন্টারে যাচাই-বাছাই এবং পরীক্ষার মাধ্যমে ১ জন করে উদ্যোক্তা নিয়োগ করা হয়।

রাজধানীর আগারগাঁও ডাক বিভাগের সামনে মানববন্ধন করে আসছে উদ্যোক্তারা। বিভিন্ন জেলা থেকে প্লেকার্ড হাতে নিয়ে উদ্যোক্তারা মানববন্ধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর “ চাকরী করবো না, চাকরী দিবো” এই বার্তাকে বানী হিসাবে গ্রহণ করে আমরা ১০ বছর উদ্যোক্তা হিসাবে গ্রামীন জনগণকে ডিজিটাল সেবা প্রদান করে আসছি। আমাদের কোন বেতন/ভাতা না থাকলেও নিযুক্তির শর্ত অনুযায়ী ডিজিটাল সেবা প্রদানের বিনিময়ে প্রাপ্ত আয়ের ১০% সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে থাকি। 

গত ৪ বছরে প্রায় ১০,০০,০০,০০০/- (দশ কোটি টাকা) রাজস্ব জমা দিয়েছি যেখানে ডাক বিভাগের সরকারি কাজের ব্যয়, আয়ের থেকে বেশি। উদ্যোক্তাদের কোন ধরণের সরকারি বেতন/ভাতা না থাকায় পোস্ট ই-সেন্টারের উদ্যোক্তা ভিত্তিক সকল কার্যক্রমের সরকারি ব্যয় = ০ (শুন্য)। আমরা পোস্ট-ই সেন্টার থেকে বর্তমানে প্রতিবছর দুটি সেশনে প্রায় ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) প্রশিক্ষণার্থীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করি যার সর্বোমোট সংখ্যা আনুমানিক ৩,৫০,০০০ জন। 

এছাড়া পোস্ট ই-সেন্টার থেকে কম্পিউটার কম্পোজ, প্রিন্টিং, স্ক্যানিং, ছবি প্রিন্ট, ই-মেইল, অনলাইন ভার্তি পরীক্ষার আবেদন ও ফলাফল, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, দেশে-বিদেশে ভিডিও কনফারেন্স, আর্থিক সেবা (নগদ ও এজেন্ট ব্যাংকি) সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির ভাতা প্রদান এবং ই-কমার্স সেবা প্রদান কর্যক্রম চালু রয়েছে।

১৫ফেব্রুয়ারি ডাক অধিদপ্তরের ১৪.৩১.০০০০.০৩৯.০৬.০৩২.২২.২৮ নং স্মারকের নির্দেশনায় সারা দেশের সকল পোস্ট ই-সেন্টারের উদ্যোক্তার নিযুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এই বাতিল আদেশ প্রধানমন্ত্রী সৃষ্ট পোস্ট ই-সেন্টারের সকল সক্রিয় এবং দক্ষ  উদ্যোক্তা এবং তাদের পরিবারের উপর বিপর্যয় নেমে এসেছে যা অত্যন্ত অমানবিক। 

সারাদেশের সকল পোস্ট ই-সেন্টার সক্রিয় না থাকলেও যারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ধারন করে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা উদ্যোক্তা হিসাবে দক্ষ, মেধাবী এবং সফল। 

উল্লেখ্য যে গত ১০ বছর উদ্যোক্তা হিসাবে কর্মরত থাকায় উদ্যোক্তাদের চাকুরীর আবেদন করার বয়সও উত্তির্ণ হয়েছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে প্রকল্পের বরাদ্দ শেষ হওয়ায় ডাক বিভাগ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মেরারত ও নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয় উদ্যোক্তার নিজস্ব অর্থায়নে করার জন্য উৎসাহ প্রদান করে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু থাকায় এখন প্রতিটি সচল পোস্ট ই-সেন্টারে উদ্যোক্তার নিজস্ব অর্থায়নে ১০ থেকে ২০ টি কম্পিউটার রয়েছে যার বিনিয়োগ মূল্য প্রায় গড়ে ১০ লক্ষ টাকা। 

এছাড়া নিজ এলাকায় ডিজিটাল সেবা প্রদানের কারনে বিভিন্নভাবে উদ্যোক্তা এবং সেবা গ্রাহকের মধ্য পরষ্পর নির্ভরশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। উদ্যোক্তাদের জীবনের সকল উপার্জন এখানে বিনিয়োগ করায় তাদের পক্ষে বিকল্প পেশায় নিয়োজিত হওয়া সম্ভব নয়।

 

এস

×