.
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ৩৩ দিন বাকি। সারাদেশের ৩০০ আসনে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। আচরণবিধি ভঙ্গের ভয়ে প্রকাশ্যে প্রচারের পরিবর্তে চলছে নীরব গণসংযোগ। প্রার্থী হিসেবে অবস্থান জোরদার করতে ভোটারদের পাশাপাশি বিভিন্ন মহলের সমর্থন পেতে বিরামহীন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ভোট টানার কৌশল নিয়ে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন আইনে প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রকাশ্যে প্রচার চালানো যায় না। নির্বাচনের তফসিল অনুসারে ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ওই দিন থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। আর নির্বাচন হবে ৭ জানুয়ারি। কিন্তু প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেই বিভিন্ন কৌশলে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এলাকার প্রভাবশালী লোকদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান, হাটবাজারে আড্ডা ও নীরবে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর বাসায় বাসায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। এ ছাড়া প্রার্থী নিজে ও ঘনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে সামাজিক মাধ্যমে কৌশলে প্রচার চালাচ্ছেন।
বিএনপি নির্বাচনে না এলেও প্রতিটি আসনেই এবার আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ বড় দলের প্রার্থীদেরও স্বস্তি নেই। ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭১৩ প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জন। শুধু আওয়ামী লীগেরই রয়েছে ৪৪২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রায় প্রতিটি আসনেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীর সঙ্গে জমজমাট লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর। এ কারণে এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহল থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে চাপ থাকায় এবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পাশাপাশি সরকারের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও আগে থেকেই অধিকতর তৎপর। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক রাখতে নির্বাচন কশিমন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সারাদেশের সকল ইউএনও ও ওসিদের বদলি করেছে। কোন কোন জেলার ডিসিকেও বদলি করা হয়েছে এবং অন্যান্য জেলার ডিসিদেরও বদলি প্রক্রিয়া চলছে। নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেও সতর্ক করেছে ইসি। কোনো অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসি। এ পরিস্থিতিতে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরাও সতর্ক অবস্থানে থেকে নিজ নিজ কৌশলে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। কে কার চেয়ে কৌশলে এগিয়ে থেকে নিজের ভোটব্যাংক বাড়াতে পারে, সে জন্য আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে প্রতিযোগিতা। এ কারণে দিনরাত দৌড়ঝাঁপ করছেন তারা। বিশেষ করে যে সব আসনে বড় জোটের প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যেসব আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে, সেখানের প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ বেশি করতে হচ্ছে বলে জানা যায়। বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে প্রতিটি আসনের এমন প্রার্থীরা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ভোট ব্যাংক বাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিনে উত্তরা, মিরপুর, গুলশান, বনানী, মহাখালী, বড্ডা, রামপুরা, খিলগাও ও মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশলে গণসংযোগ শুরু করেছেন। পাশাপাশি তাদের পক্ষে দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনরা পাড়া-মহল্লায় প্রতিদিনই দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করছেন। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে একেক দিন একক পাড়া-মহল্লায় গিয়ে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। তবে প্রচারণায় এখনো পর্যন্ত এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের দলের প্রার্থীরা। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এভাবে প্রচার চলছে। তবে নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি ভঙ্গের ভয়ে তারা নীরবে প্রচার চালাচ্ছেন।
পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহর থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ ছুটে যাচ্ছেন মফস্বলে। আবার শহরের প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাতে তাদের স্বজনরা গ্রাম থেকে ছুটে আসছেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও অনেক প্রবাসী স্বজনদের পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে দেশে ফিরে আসছেন। ফলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শহর-বন্দর ও গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে চায়ের দোকান ও রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে সর্বত্র আড্ডা জমে উঠেছে। এসব আড্ডায় আলোচনায় প্রধান্য পাচ্ছে কে কোন আসনের প্রার্থী এবং কার অবস্থান কার চেয়ে ভালো।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দল অংশ নেয়। ফলে প্রচারও ছিল জমজমাট। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। আর শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় বিএনপি-জামায়াত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারাসহ বেশ ক’টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলেও বিএনপি ও জামায়াতসহ বেশ ক’টি দল না আসায় নির্বাচন তেমন জমজমাট হয়নি। ওই নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যাও ছিল অনেক কম। এ কারণে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয়পার্টিসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত অধিকাংশ দল অংশ নিলেও ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রচার ছিল দুর্বল। ওই নির্বাচনকে সিরিয়াসলি নেয়নি বিএনপি। এ কারণে ওই নির্বাচনটিও তেমন জমজমাট হয়নি। আর এ নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৬টি আসন পায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহল আগেই নানামুখী প্রশ্ন তোলায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আগেভাগেই তৎপর হয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এ নির্বাচনকে জমজমাট করতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করে। আর এ কারণেই এবার আগেভাগেই জমে উঠে নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশন ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুসারে ৩০ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাই আজ ৪ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচার চালাতে পারবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আর বিএনপিসহ ১৬ টি দল এক দফা দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। এর আগে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয় ১২টি নিবন্ধিত দল। আর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেয় ৩৯টি দল।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে ২৮ দল অংশ নিচ্ছে সেগুলো হচ্ছে- আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও শেখ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ২, প্রতীক বাইসাইকেল), দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (নিবন্ধন নম্বর ৩, প্রতীক চাকা), কাদের সিদ্দিকী ও হাবিবুর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (নিবন্ধন নম্বর ৪, প্রতীক গামছা), শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন নম্বর ৬, প্রতীক নৌকা), ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী ও ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রী পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ৮, প্রতীক কবুতর), আইভি আহমেদ ও মোহাম্মদ আলী ফারুকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ৯, প্রতীক কুঁড়েঘর), রাশেদ খান মেনন ও ফজলে হোসেন বাদশার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ১০, প্রতীক হাতুড়ি), অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ (নিবন্ধন নম্বর ১১, প্রতীক কুলা), গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ও মো. মুজিবুল হকের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ১২, প্রতীক লাঙ্গল), হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (নিবন্ধন নম্বর ১৩, প্রতীক মশাল), মোস্তফা আমীর ফয়সল ও এজাজুর রসুলের নেতৃত্বাধীন জাকের পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ১৬, প্রতীক গোলাপ ফুল), সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (নিবন্ধন নম্বর ১৯, প্রতীক ফলের মালা), মাওলানা হাফেজ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী ও মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (নিবন্ধন নম্বর ২০, প্রতীক বটগাছ), শেখ ছালাউদ্দিন ছালু ও মো. ইদ্রিস চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ২২, প্রতীক আম), ড. কামাল হোসেন ও ডা. মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম (নিবন্ধন নম্বর ২৪, প্রতীক উদীয়মান সূর্য), মো. জাকির হোসেন ও আহমেদ আলী শেখের নেতৃত্বাধীন গণফ্রন্ট (নিবন্ধন নম্বর ২৫, প্রতীক মাছ), অধ্যাপক ডা. এম এ মুকিত ও জাফর আহমেদ জয়ের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ২৮, প্রতীক কাঁঠাল), সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ও আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বাধীন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (নিবন্ধন নম্বর ৩০, প্রতীক চেয়ার), মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও আবদুল আউয়াল মামুনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ৩১, প্রতীক হাতঘড়ি), হাফেজ মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মুফতি ফয়জুল্লাহর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট (নিবন্ধন নম্বর ৩২, প্রতীক মিনার), মাওলানা এম এ মতিন ও অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (নিবন্ধন নম্বর ৩৫, প্রতীক মোমবাতি), অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী ও মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (নিবন্ধন নম্বর ৪০, প্রতীক হাতের পাঞ্জা), আবু লায়েস মুন্না ও মো. শাহজামাল আমিরুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (নিবন্ধন নম্বর ৪১, প্রতীক ছড়ি), এস এম আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ (নিবন্ধন নম্বর ৪২, প্রতীক টেলিভিশন), এ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন ও এ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কংগ্রেস (নিবন্ধন নম্বর ৪৪, প্রতীক ডাব), শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপি (নিবন্ধন নম্বর ৪৫, প্রতীক সোনালী আঁশ), শাহ মো. আবু জাফর ও ড. মো. শাজহাজানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম (নিবন্ধন নম্বর ৪৮, প্রতীক নোঙ্গর) এবং শাহাজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ ও মো. আব্দুল আজিজ সরকারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ৪৯ প্রতীক একতারা)।
এবারের সংসদ নির্বাচনে যে ১৬টি দল অংশ নিচ্ছে না সেগুলো হচ্ছে- ড. অলি আহমদ ও ড. রেদোয়ান আহমেদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটি পার্টি-এলডিপি (নিবন্ধন নম্বর ১, প্রতীক ছাতা), মোহাম্মদ শাহ আলম ও রুহিন হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি (নিবন্ধন নম্বর ৫, প্রতীক কাস্তে), খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বাধীন বিএনপি (নিবন্ধন নম্বর ৭, প্রতীক ধানের শীষ), আ স ম আবদুর রব ও শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি (নিবন্ধন নম্বর ১৫, প্রতীক তারা), বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (নিবন্ধন নম্বর ১৭, প্রতীক মই), ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ১৮, প্রতীক গরুর গাড়ি), বদরুদ্দোজ্জা আহমেদ সুজা ও কাজী আবুল খায়েরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (নিবন্ধন নম্বর ২১, প্রতীক হারিকেন), মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দিন ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (নিবন্ধন নম্বর ২৩, প্রতীক খেজুর গাছ), প্রতীক মোটর গাড়ি), জেবেল রহমান গাণি ও এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ (নিবন্ধন নম্বর ২৭, প্রতীক গাভী), মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাঈল নূরপুরী ও মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (নিবন্ধন নম্বর ৩৩, প্রতীক রিকশা), মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ও ইউনুস আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (নিবন্ধন নম্বর ৩৪, প্রতীক হাতপাখা), সাইফুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (নিবন্ধন নম্বর ৩৭, প্রতীক কোদাল), মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও ড. আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিস (নিবন্ধন নম্বর ৩৮, প্রতীক দেয়াল ঘড়ি), ববি হাজ্জাজ ও হুমায়ুন পারভেজ খানের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (নিবন্ধন নম্বর ৪৩, প্রতীক সিংহ), ইমাম আবু হায়াত ও মো. রেহান আফজালের নেতৃত্বাধীন ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ (নিবন্ধন নম্বর ৪৬, প্রতীক আপেল) এবং শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (নিবন্ধন নম্বর ৪৭।
এদিকে এবার জমজমাট নির্বাচন হলেও বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো অংশ নেয়নি। অভিজ্ঞ মহলের মতে রাজপথে এক দফার দাবি আদায় না হওয়া ও নির্বাচনে না আসার কারণে দলটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিকভাবে চরম বেকায়দায় পড়তে পারে। তাই বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত ছিল। যেমন ভুল করেছিল ২০১৪ সালে এবারও তেমন ভুল করলো বিএনপি। সম্প্রতি দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। বিএনপি নির্বাচনে গেলে তিনি নির্বাচনে যাবেন। ২০১৪ সালে বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কারও জন্য এ ট্রেন থামবে না। নির্ধারিত সময়েই এ ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছবে।