ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:৪৭, ১ অক্টোবর ২০২৩

সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

তোয়াব খান

বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্ব  দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১ অক্টোবর। ২০২২ সালের আজকের দিনে কিংবদন্তি এই সাংবাদিকের কলম চিরতরে থেমে যায়। গুণমুগ্ধ সাংবাদিক সহকর্মী ও পরিবারের পক্ষ থেকে আজ রবিবার এই যুগ¯্রষ্টাকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। তোয়াব খানের গুলশানের বাসভবনে কুরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

দীর্ঘ কর্মময় জীবনের অধিকারী তোয়াব খান ৮৭ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। তিনি ছিলেন ভাষাসংগ্রামী। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতারে যোগ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ছয় দশকের বেশি সময় সাংবাদিকতা করা তোয়াব খান অনন্য এক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। সম্পাদকদের সম্পাদক হিসেবে জ্ঞান করা হতো তাকে। বর্ষীয়ান সাংবাদিক ভবিষ্যতের সাংবাদিকতা এগিয়ে নেওয়ার মতো কয়েকটি প্রজন্ম নিজ হাতে গড়ে দিয়ে গেছেন। এ কারণেও আজীবন শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। তার বোধের গভীরে ছিল উদারনৈতিক চিন্তা ও প্রগতিবাদী দর্শন। সারাজীবন বাঙালিত্বের অহর্নিশ চর্চা করেছেন। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িকতার আপোসহীন চেতনা শত অন্ধকারের মাঝেও মশালের মতো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

তার সম্পাদিত সংবাদপত্রে এসবেরই বিপুল প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। ঈর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব উন্নত চেতনা সুরুচি তাকে অন্য অনেকের থেকে আলাদা করেছিল। এত গুণে সমৃদ্ধ হয়েও তিনি ছিলেন ন¤্র ও বিনয়ী। শুদ্ধচারী ছিলেন। নিভৃতে কাজ করে গেছেন। সাংবাদিকতা পেশার প্রতি এত ভালোবাসা, এত নিবেদন আজকের দিনে শুধু বিরলই নয়, বিস্ময় জাগানিয়া। তোয়াব খানের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল। সাংবাদিকতা শুরু করেন পঞ্চাশের দশকে। ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতা দিয়ে বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের শুরু। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় যোগ দেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের পর দৈনিক পাকিস্তান নাম বদলে দৈনিক বাংলা হয়।

তোয়াব খান হন এর যোগ্য সম্পাদক। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তোয়াব খান ১৯৭৩ সালে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ পিআইবির পরিচালক পদে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে তিনি সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। সব মিলিয়ে বর্ণাঢ্য এক জীবনের অধিকারী ছিলেন তোয়াব খান।