ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রশ্নোত্তর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ইসি ॥ আইনমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০১, ৯ জুন ২০২৩

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ইসি ॥ আইনমন্ত্রী

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে

নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন এবং কেবল সংবিধান ও আইনের অধীন। বর্তমান ইসি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে নেওয়া পদক্ষেপের মধ্যে সব দলের নির্বিঘœ প্রচার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা রোধ ও হয়রানিমূলক মামলা না করাসহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশন টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বিল খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে সংসদ কাজে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা এবং কোনো ধরনের হয়রানিমূলক মামলা না করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনমন্ত্রী জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নানা অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন দলের নিবন্ধনসহ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় আগে থেকেই দৃঢ়তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়েছে।
নির্বাচনকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং এসব চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য ইসির নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।  ইসি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংবিধান ও নির্বাচনী আইন অনুযায়ী অধিকাংশজন যেসব সুপারিশ করেছে তা বাস্তবায়ন।
এছাড়া সব রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনী প্রচার কাজ নির্বিঘেœ করতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা, সরকারের কোনো সংস্থা কর্তৃক হয়রানিমূলক  মামলা না করা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থক দ্বারা প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ না করা এবং এমন হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া।

×