![‘অনিয়ম হলে জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেয়া হবে’ ‘অনিয়ম হলে জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেয়া হবে’](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023January/rasheda-49-2303221317.jpg)
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা জানিয়েছেন, অনিয়ম হলে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনও বাতিল করে দেওয়া হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের একটাই মেসেজ, জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনোরকম বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন। আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেবো।’
তিনি বলেন, ‘চলতি বছর অনুষ্ঠেয় পাঁচ সিটি নির্বাচনে আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত এখনও রয়েছে। সামনে কী হবে তা এখনই বলতে পারবো না।’
দাতা সংস্থাগুলোর কোনও সহায়তা জাতীয় নির্বাচনে নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনারের ভাষ্য, ‘সে রকম যদি হয়, আমাদের তো নিতে অসুবিধা নেই। তবে কে কী দেবে বা কীভাবে হবে সেটা আগে দেখতে হবে।’
সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আস্থা বিষয়টি তো মানসিক। কে কীভাবে আস্থা পাবে, তা তো আমরা বলতে পারবো না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন কোনো কাজ করিনি যে কেউ আস্থায় আসবে না। আমরা গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে সেই প্রমাণ দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর সিইসি প্রথমে ৫০টি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় ৫১ কেন্দ্রে। এ ছাড়া অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেও অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। পরে সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গাইবান্ধার এক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ এসআই, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এরপর গত ৪ জানুয়ারি নতুন করে ফের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এমএইচ