![এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল পেছাল এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল পেছাল](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023January/Sinha-2301241519.jpg)
সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা
যুক্তরাষ্ট্রে একটি তিন তলা বাড়ির খোঁজ পাওয়ায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ধার্য দিনে দুদক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। গত বছরের ৩১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে সিনহা তার ভাইয়ের নামে ২০১৮ সালের ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ১৭৯, জ্যাপার স্ট্রিট, প্যাটারসন নিউজার্সি ০৭৫২২ এলাকায় তিন তলাবিশিষ্ট বাড়িটি কেনেন।
এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকার সময় অপরাধলব্ধ অর্থ হুন্ডিসহ বিভিন্ন কায়দায় আমেরিকায় পাচার করেন। পরে তার ছোট ভাই অনন্তর অ্যাকাউন্টে এসব অর্থ ট্রান্সফার করেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ হওয়ায় মামলা রুজু করা হয়।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সিনহার ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে ডেন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত। আমেরিকার একটি ব্যাংক থেকে ৩০ বছরের জন্য ঋণ নেন ১ লাখ ৮ হাজার ৭৫০ ডলার। তারপর ১ লাখ ৪৫ হাজার ডলার দিয়ে একটি বাড়ি কেনেন তিনি। ২০১৮ সালের ১২ জুন ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার নগদ অর্থ দিয়ে আরেকটি বাড়ি কেনেন তিনি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অর্থ পাচারের অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এস কে সিনহার সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেন দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে এস কে সিনহার তিনতলা বাড়ির রেকর্ডপত্র হাতে আসে দুদকের।
এর আগে, ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে মানি লন্ডারিংয়ে সাত এবং অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এমএস