ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ ॥ দাবি আদায়ে আসছে বিএনপির নতুন কর্মসূচি

সমাবেশের স্থান নিয়ে সমঝোতা

শরীফুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০০:৩২, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

সমাবেশের স্থান নিয়ে সমঝোতা

গণসমাবেশ উপলক্ষে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে শুক্রবার বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন

বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। শুক্রবার বিকেলে ডিএমপির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ অনুমতি পেয়েছে দলটি। সে অনুযায়ী আজ শনিবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করবে বিএনপি। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ রাজধানীতে ব্যাপক শোডাউন করবে তারা। সমাবেশ থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেবে বিএনপি। এ ছাড়া এই সমাবেশ থেকেই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি ও সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের জন্য ১০ দফা ঘোষণা করা হবে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকের সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল-স্লোগান দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়ার চেষ্টা করে। এ ছাড়া দলে দলে স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থল গোলাপবাগ মাঠে গিয়ে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে শুক্রবার রাতেই ভরে যায় গোলাপবাগ মাঠ। তবে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয় এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেয়নি পুলিশ। বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওই এলাকাসহ পুরো রাজধানীর মোড়ে মোড়ে সতর্ক পাহারা জোরদার করে পুলিশ। এর আগে বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী আগে থেকে ঢাকায় এসে অবস্থান নেয়। শুক্রবারও দূরদূরান্ত থেকে অনেক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে চলে আসে।
এর আগে বিকেলে ডিএমপির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শনিবার বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ গোলাপবাগ মাঠে হবে। আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম চেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে খেলা চলায় সমাবেশ করা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমরা গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহার ও মাইক ব্যবহারের জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি দেই। পুলিশ আমাদের অনুমতি দিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব। আর পুলিশ জানিয়েছে, আমাদের সমাবেশের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করতে বিএনপিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়া হলেও তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে অনড় অবস্থানে থাকে। সরকারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া অন্য কোথাও অনুমতি দিতে চায়নি। উভয় পক্ষ অনড় অবস্থানে থাকার এক পর্যায়ে ৭ ডিসেম্বর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এ সময় সেখানে আহত এক বিএনপি কর্মী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এরপর বিএনপি  কার্যালয়ে অভিযান ও বেশ ক’জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হওয়ার পর টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে।

৮ ডিসেম্বর রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে কমলাপুর স্টেডিয়ামে সমাবেশ করার দাবি জানানো হয়। আর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠে। কিন্তু পুলিশ ও বিএনপি নেতারা যৌথভাবে মাঠ পরিদর্শনের পর মধ্য রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের কাছে বলেন, এই দুই ভেন্যুতেও বিএনপির সমাবেশ করা নিরাপদ নয়। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৩টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে যখন অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তখন দলটির নেতারা ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি চায়। ডিএমপির পক্ষ থেকে তাদের এই ভেন্যুতে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করতে আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়  বিএনপি। তবে মাঝখানে ৭ ডিসেম্বরের বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দলটির একজন কর্মী নিহত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান ও বেশ ক’জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও পল্টন এলাকায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে পুরো এলাকায় পুলিশের নিয়ন্ত্রণের পর দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার এড়াতে নিরাপদ অবস্থানে চলে যান। কিন্তু শুক্রবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ার পর আবার তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে অনেকেই গোলাপবাগ মাঠে গিয়ে অবস্থান নেয়। দূর থেকে আসা নেতাকর্মীদের জন্য রাত্রিযাপন ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
গোলাপবাগ মাঠের সমাবেশে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত সকল থানা ও ওয়ার্ডসহ সারাদেশ থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মী এসে জড়ো হয়ে বড় ধরনের শোডাউন করবে। আর এই সমাবেশ থেকেই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সরকারকে আল্টিমেটাম দেবে দলটি। আল্টিমেটাম অনুসারে দাবি না মানলে রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণাও দেয়া হবে। এ ছাড়া এই মহাসমাবেশ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মাঠ দখলের চেষ্টা করবে বিএনপি।
আজকের সমাবেশ থেকে কি কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং এই সমাবেশ থেকে দলের নেতাকর্মী, দেশের সাধারণ মানুষ ও সরকারকে বিএনপি কি বার্তা দেবে তা আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শেষ মুহূর্তে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা যায়।
সূত্র মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে আজকের সমাবেশ থেকে মূলত একটি দাবিই উপস্থাপন করবে বিএনপি। আর এটি হচ্ছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিশ্চিত করতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেবে। আর এ আল্টিমেটামের পক্ষে জনমত বৃদ্ধি করতে ও রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করতে নতুন করে আবারও আন্দোলনের কিছু সিরিজ কর্মসূচি দেবে। এ ছাড়া এই মহাসমাবেশ থেকেই ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কিছু সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ারও কথাও রয়েছে। শুক্রবার রাতেই কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিএনপির আজকের সমাবেশে সমমনা দলগুলোর নেতারাও উপস্থিত থাকবেন। আর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়ার পর সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে সরকারকে চাপে ফেলতে এবার আটঘাট বেঁধে মাঠে নামতে চায় বিএনপির নেতৃত্বে ডান, বাম ও মধ্যপন্থী বেশ ক’টি রাজনৈতিক দল। এ জন্য তারা আগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যুগপৎ এ আন্দোলন দেশের সব রাজনৈতিক দলের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও কৌশলগত কারণে আপাতত ফ্রন্টলাইনে থাকছে না জামায়াত। বিএনপির সঙ্গে গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে জামায়াত এ কৌশল নিয়েছে বলে সূত্র জানায়। ২০০১ সালের আগে চারদলীয় জোট গঠন করে যেভাবে রাজপথ দখলে রেখে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় লাভ করে সেভাবে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করতে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো।
আন্দোলন জোরদারের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিএনপি আগে থেকেই সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করলেও ১০ ডিসেম্বরের পর সমমনা দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করবে। এরই প্রস্তুতি হিসেবে ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয় সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির দ্বিতীয় দফা সংলাপ। এ পর্যন্ত প্রায় ২০টি দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ করেছে বিএনপি। এর আগে গত ২৪মে থেকে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি। প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেল বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। তাই রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় থাকা দলটির হাইকমান্ড চাচ্ছেন দ্বাদশ নির্বাচনের আগেই অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে নির্বাচনে অংশ নিতে। টার্গেট ক্ষমতায় যাওয়া হলেও অন্তত বেশ কিছু আসনে বিজয়ী হয়ে যাতে দলের জন্য সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করা যায়। আর তা হলে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজপথের আন্দোলন ও সর্বস্তরে দলকে চাঙ্গা করে যেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক শক্তি সঞ্চয় করা যায়। এ জন্যই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় দেড় দশক বাকি থাকতেই জনদৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দেয়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা আজকের সমাবেশের পর শুরু হবে।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০১৫ সালের মতো আবারও কঠোর কোনো কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়তে চায় না বিএনপি। তাই সেভাবেই আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করা হয়েছে। রাজপথের আন্দোলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জুলাই মাস থেকেই ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করে বিএনপি। আর ১২ অক্টোবর থেকে নতুন উদ্যমে গণসমাবেশ কর্মসূচি শুরু করে যা শেষ হচ্ছে আজ।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আজ শনিবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজকের সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি আসছে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, আমরা আগামীদিনে এই সরকারের বিদায়ের জন্য কতগুলো চার্টার অব ডিমান্ড বা দফা ঘোষণা করবো এবং আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলনের জন্য যারা প্রস্তুত ইতোমধ্যেই এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, আমরা যে ১০ দফা প্রণয়ন করেছি তারা যুগপৎভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তা ঘোষণা করবেন এবং বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন। যার যার অবস্থান থেকে তারা ভবিষ্যতে এই দফাগুলোর দাবিতে আন্দোলনকে শাণিত করে যুগপৎভাবে আন্দোলন আসবেন।
ড. মোশাররফ জানান, বেলা ১১টায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণভাবে গোলাপবাগের মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত হবে। ঢাকাবাসীর প্রতি আমাদের আহ্বান, এ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে অপচেষ্টা করছে তার প্রতিবাদ জানাতে আপনারা সমাবেশে দলে দলে যোগ দিন। ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে জনতার ঢল নামবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। জ্বালানি তেলের ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে আসা নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে বিভাগীয় সমাবে কর্মসূচি শুরু করি আমরা। আজ শনিবার ঢাকার সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে।
ড. মোশাররফ বলেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি চেয়ে লিখিত চিঠি দেয়া সত্ত্বেও তা নিয়ে সরকার গড়িমসি করে। আমরা না চাওয়া সত্ত্বেও পুলিশ অযাচিতভাবে ও স্বপ্রণোদিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নজিরবিহীনভাবে ২৬ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয়। অনিবার্য ও যুক্তিসঙ্গত কারণে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করে আলোচনার মাধ্যমে তৃতীয় কোনো উপযুক্ত স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার যে অনুরোধ জানিয়েছি তাতে তারা সায় দিতে গড়িমসি করেছে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা, গুলিবর্ষণ, কার্যালয়ে অভিযানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও সর্বশেষে দলের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, এসএম ফজলুল হক, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।

 

 

 

 

 

×