ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জবি ছাত্রলীগে ১৬ বিভাগে কমিটি গঠন

জবি সংবাদাদাতা

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

জবি ছাত্রলীগে ১৬ বিভাগে কমিটি গঠন

ছাত্রলীগ লোগো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের ১৬টি বিভাগে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলা, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রাণীবিদ্যা, ফিন্যান্স, নৃবিজ্ঞান, লোক প্রশাসন, ভূগোল ও পরিবেশ, উদ্ভিদবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, ফার্মেসী, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, অর্থনীতি, নাট্যকলা, পরিসংখ্যান বিভাগের এসব কমিটিকে আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাতে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কমিটির ঘোষণা করা হয়।

জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজি জনকণ্ঠকে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে এই বাংলার অবিকল্প সারথি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সফল এবং ডেল্টা প্লান-২০৪১ বাস্তবায়নে একঝাঁক তরুণ মেধাবী, দক্ষ, শৈল্পিক, স্বচ্ছ এবং পিতা মুজিব ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আদর্শিক, সংগ্রামী নেতৃত্ব তৈরির জন্যই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬টি বিভাগে ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে।

বাংলা বিভাগের সভাপতি হয়েছেন তুষার মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছেন অর্জুন বিশ্বাসকে। এই কমিটিতে সহসভাপতি পদে ৫জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৮জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ২জন। ইতিহাস বিভাগে সভাপতি চয়ন কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি ১৫জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১০জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ৯জন, দপ্তর সম্পাদক ১জন, প্রচার সম্পাদক ১জন। আহমেদ হাসনাতকে সভাপতি ও সাজ্জাদ আরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অন্যরা হলেন সহসভাপতি ১৪জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৮জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ১০জন। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি হয়েছেন নাহিদুল ইসলাম হিমেল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফাহিম। এই কমিটিতে সহসভাপতি ৬জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৭জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ৩জন। 
নৃবিজ্ঞান বিভাগে সভাপতি মশিউর রহমান শুভ ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম রাফি। কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি ৭জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৫জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ৫জন। হামীম ইবনে বাসারকে সভাপতি ও আল আমিন দিমানকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত ফিন্যান্স বিভাগের কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি ৭জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৬জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ৬জন। লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি হয়েছেন রাকিবুল হাফিজ অন্তর, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোঃ আরিফুল ইসলাম। এই কমিটিতে সহসভাপতি পদে ৩জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২জন। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে সভাপতি আকরাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ রওনক। কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি ৮জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৭জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ৩জন। সোহানুর রহমানকে সভাপতি ও আশিকুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অন্যরা হলেন সহসভাপতি ৫জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৫জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ১জন। 

মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হয়েছেন রাসেল মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোঃ আকিব হায়দার ইমন। এই কমিটিতে সহসভাপতি পদে ৫জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৫জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ২জন। ফার্মেসি বিভাগে সভাপতি মোঃ আসিফ আরাফাত নিলয় ও সাধারণ সম্পাদক এস এম বায়েজিদ। কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি ৪জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ২জন। সুমিত দত্তকে সভাপতি ও তারিদ্দোহা সৌম্যকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি ৫জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৪জন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি হয়েছেন বায়েজিদ শেখ, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাশরাফি রহমান খাঁন। এই কমিটিতে সহসভাপতি পদে ৮জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৫জন. সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন ২জন। অর্থনীতি বিভাগে সভাপতি প্রিয়দর্শী চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ রানা। কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি ৪জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৪জন। নাফিজ ইকবাল তাশিফকে সভাপতি ও রাসেল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত নাট্যকলা বিভাগের কমিটির অন্যরা হলেন সহসভাপতি ৫জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৫জন। পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল রাফি সাকিব, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মো. শাহীন আলম। এই কমিটিতে সহসভাপতি পদে ৪জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৭জন।

উল্লেখ্য, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই মাতৃভূমির সংকট, সংশয়, প্রয়োজন কিংবা উদ্ভাবনে তারুণ্যের দ্রোহ আর মুক্তির জয়গানে জয়-বাংলা স্লোগানে মুখরিত করেছে। ৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয়দফা, ৭০-এর নির্বাচন, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় স্বৈরাচার বিরোধী প্রবল আন্দোলনে ছাত্রলীগের হাজারো নেতাকর্মী এদেশের মুক্তিকামী মানুষের জন্য মিছিলের সম্মুখভাগ থেকে সর্বদা নেতৃত্ব দিয়েছেন। গনতন্ত্র রক্ষা, মৌলবাদের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার আওয়াজ এবং এদেশের শিক্ষার্থী সমাজের সকল যৌক্তিক দাবি আদায়ের লড়াইয়ের মাধ্যমে দৃঢ় প্রত্যয় এবং তারুণ্যের স্বপ্ন বিনির্মানে শ্রেষ্ট বন্ধু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই বৃহৎ ছাত্র সংগঠন।

তাসমিম

×