
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় দুনিয়া কাঁপানো জঙ্গি হামলার পর সরকার কঠোর অবস্থান নেয় আবাসিক এলাকা
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় দুনিয়া কাঁপানো জঙ্গি হামলার পর সরকার কঠোর অবস্থান নেয় আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণের। সে সময় মন্ত্রিসভার বৈঠক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়- আবাসিক এলাকায় যেসব প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাদের অপসারণ করা হবে। এর পর সরকার কয়েক দফা রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণের উদ্যোগ নেয়।
কিন্তু রাজউকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করায় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অপসারণ তো হয়ইনি- উল্টো সব নীতিমালা উপেক্ষা করে গোটা রাজধানীই এখন বাণিজ্যিক নগরীতে পরিণত। প্রয়োজনের দোহাই দিয়ে যত্রতত্র গড়ে তোলা হচ্ছে কাঁচা বাজার, পাকা মার্কেট, খোলা বিনোদন কেন্দ্র্ ও অফিস আদালত। আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
যার কিছু অনুমোদিত বাকিগুলো অনুমোদিত। অথচ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রয়েছে নিজস্ব নীতিমালা কোন এলাকায় কিভাবে নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। সরকারের সর্বশেষ সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল- দেশের সব সিটি করপোরেশনের আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণ করতে হবে। বছর ছয়েক আগে অর্থাৎ ২০০৬ সালে মন্ত্রিসভার নির্দেশ কার্যকর হওয়া দূরের কথা উল্টো তা অমান্য করে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক এলাকা।
পরিকল্পিত আবাসিক এলাকায় যে যেভাবে পারছে সেভাবেই তৈরি করছে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। অধিকন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর কার্যকর তৎপরতা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে এগুলো আরও জেঁকে বসেছে। রাজধানী ঢাকার এহেন অবস্থা দেখভাল করার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজউক ও সিটি কর্পোরেশনও যেন নির্বিকার।
তবে এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজউক সূত্র জানিয়েছে, সব দোষই রাজউকের ওপর চাপানো হয়। ওই সিদ্ধান্তের পর কিছু প্রতিষ্ঠানকে বার বার উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা আবার ফিরে আসে। কেউ তদ্বির করে, কেউ মামলা করে। শুধু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণে ৫ শতাধিক মামলা হয়েছে আদালতে।
এ ছাড়া রাজউকসহ ১২টি প্রতিষ্ঠানকে অভিযানের সময় অংশ নিতে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানকে পাওয়া গেলেও সব সময় পুলিশ পাওয়া যায় না। তবে পুলিশ না পাওয়ায় মাঝে মধ্যেই অভিযান বন্ধ রাখতে হয়। এ ধরনের প্রতিবন্ধকতার মাঝেই রাজউককে কাজ করতে হচ্ছে। এজন্যই শতভাগ সফলতা আসেনি উচ্ছেদে।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে এ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে খুবই জোরেশোরে কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরুও হয়। ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে মাঠে নামে-রাজউক ও অন্যান্য সংস্থা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কিছুদিন পরই তা স্তিমিত হয়ে পড়ে।
হাঁকডাক দিয়ে শুরু হওয়া আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণের এই তৎপরতায় নগরবাসী আশায় বুক বাঁধলেও শেষমেশ এই উদ্যোগও গতানুগতিক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে। প্রথমে লোক দেখানো কিছু চিঠি ইস্যু করলেও পরবর্তীতে সেটা আর অব্যাহত রাখা হয়নি। ঢাকায় প্রথম ৬-৭ মাস কয়েক দফা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণ অভিযান পরিচালনা করা হলেও ঢাকার বাইরে সিটি কর্পোরেশনগুলোয় তেমন কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। এখন খোদ রাজধানীতেও এ অভিযান অনেকটা বন্ধ হওয়ার পথে। মাঝে মাঝে কিছু অভিযান চালিয়ে কিছু জেল জরিমানা করা ও সিলগালা করার মতো অ্যাকশন নেয়া হলেও এখন তাও চোখে পড়ে না।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নগর বিশেষজ্ঞ আদিল খান বলেন, রাজউকের দায়িত্ব গোটা রাজধানীর কোথায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকবে, কোথায় থাকবে না সেটা দেখভাল করার। নগরবাসীর প্রয়োজন থাকলে আবাসিক এলাকাতেও নিয়ন্ত্রিত দোকান পাট ও মার্কেট করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা হতে হবে নিয়ন্ত্রিত। এই নিয়ন্ত্রণ যদি না থাকে তাহলে পরিবেশ বিশৃঙ্খল হবে।
আসলে সরকার নগরবাসীর কল্যাণে আবাসিকের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও এসব বাণিজ্যিকীকরণের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় বড় বড় বাধা আসে। অনেক জনপ্রতিনিধি বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্তাব্যক্তিরা আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাধা হয়ে দাঁড়ান। একইসঙ্গে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরাও নানাভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাধা দেন। উচ্চ আদালত শত শত মামলায় স্থিতাবস্থা দেয়। এসব কারণে আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম অপসারণ সম্ভব হচ্ছে না।
একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন নগরবিদ ও বিশিষ্ট স্থাপত্যবিদ ইকবাল হাবিব। তিনিও মনে করেন, রাজউকের উচিত পলিসি দেওয়া ও সেটা বাস্তবায়নে নগরবাসীকে বাধ্য করা। কিন্তু আমরা দেখছি কি? রাজউক এখন মুদি দোকানিদের মতোই ব্যবসা শুরু করেছে। যেখানে সেখানে মার্কেট ও দোকান পাট তৈরি করছে, বরাদ্দ দিচ্ছে, বাতিল করছে, আবার সেটা ঠিক করে দিচ্ছে। আসলে রাজউক হচ্ছে আমলানিয়ন্ত্রিত। এটার পরিবর্তে এখানকার নীতিনির্ধারক হওয়া উচিত জনপ্রতিনিধিদের। তাহলে যদি জনগণের কাছে কিছুটা হলেও জবাবদিহিতা করতে হতো। সেটা যখন নাই তখন রাজউক তো তার যা মনে চায় তাই করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছয় মাসের মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশের আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণ করার সিদ্ধান্ত হয়। তারপর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কয়েকটি পর্যালোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। তখন বেশ ঢাকাসহ গোটা দেশ জুড়েই অভিযান চালানো শুরু হয়। এতে কিছুটা টনক নড়ে অবৈধব্যবসায়ীদের। কিন্তু তার কিছুদিন পরই থেমে যায় এ কার্যক্রম।
রাজউক সূত্রে জানা যায়, সে সময় প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ৬ হাজার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্তের পর ৭ এপ্রিল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, প্রথমে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণ করা হবে। হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অপসারণের ব্যাপারে এলাকাবাসীর মতামত নেয়া হবে। এলাকাবাসী ইতিবাচক মত দিলে ওইসব স্বাস্থ্য ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান থাকবে।
তবে এলাকাবাসী নেতিবাচক মতামত দিলে সেসব প্রতিষ্ঠান উঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আর কখনো এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কোনো অগ্রগতি জানানো হয়নি। তারপর থেকে অভিযানও বন্ধ। অবশ্য লোক দেখানো অভিযানে রাজউক অনৈতিক কর্মকা-ে লিপ্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এ বিষয়ে নগরীর উত্তরার বাসিন্দা শহীদ উল্লাহ বলেন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর যেভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণের অভিযান শুরু হয়েছিল, তাতে যথেষ্ট আশাবাদী হয়েছিলাম। কিন্তু পরে যা দেখলাম তাতে নিরাশ না হয়ে পারা যায়নি। মূলত রাজউকের অবহেলায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে না। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তালিকা করেও মাত্র ১১২টি আবাসিক ভবনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করতে সক্ষম হয় রাজউক। তখন শোনা গিয়েছিল, রাজধানীতে সাড়ে তিন হাজার প্রতিষ্ঠানের তালিকাও করা হয়েছিল। তবে তারপর আর বেশিদূর এগুতে দেখা যায়নি কিছুই।
এ বিষয়ে রাজউক সূত্র জানিয়েছে, সে সময় রাজধানীর জোন-৪ এর অধীনে গুলশান, বারিধারা এলাকার ৩৪টি ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে রাজউক। একইভাবে জোন-৫ এর অধীন ধানম-ি, লালবাগ এলাকায় ১৬টি, জোন-২ এর অধীন উত্তরা এলাকায় ১৯টি, জোন-৬ এর অধীনে বনশ্রী এলাকায় ১২টি ও জোন-৩ মিরপুর এলাকায় ১৪টি আবাসিক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৮৭টি অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
অভিযোগ ওঠে সে সময় অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে উচ্ছেদের ১ হাজার ৬৫২টি আবাসিক ভবনের তালিকা তৈরি করে রাজউক। পরে সেটা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৩৭৫টি ভবনের তালিকা তৈরি করা হয়। অথচ আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক স্থাপনার সংখ্যা সাত হাজারের বেশি। যদিও রাজউক কর্মকর্তারা এ দায় নিতে নারাজ।
তাদের মতে-আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরানো যায়নি মূলত ব্যবসায়ী ও সুবিধাভোগীদের কারণে। তাদের আইনি পদক্ষেপের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা অপসারণ ও বন্ধের কার্যক্রম। তারা বার বারা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে একের পর এক রিট করায় কার্যক্রম পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর দায় কেন তাহলে রাজউকের কাঁধে চাপানো হয়?
এদিকে রাজধানীর উত্তরা, গুলশান বনানী, ফার্মগেট, মিরপুর, ধানম-ি ও পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকায় সরজমিনে দেখা যায়, সর্বত্র বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ঠাসা। চিত্র দেখে মনে হয়, গোটা রাজধানীই একটা বাণিজ্যিক এলাকা। আবাসিকের কোন চরিত্র নেই। আবাসিক এলাকার কোনো প্লটের বেইজমেন্ট বা ভূ-তলের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বন্ধ রেখে তা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এগুলো উচ্ছেদ করার পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, রেস্তরাঁ হোটেল, বেসরকারি অফিস, মার্কেটসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনার তালিকা তৈরি করেছে রাজউক। রাজউক জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট, মানুষের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ায় উচ্ছেদ করা খুব সহজ কাজ না। এ ছাড়া এসব অবৈধ স্থাপনার মালিকরা সবাই প্রভাবশালী। তাদের কাছ থেকে এসব উদ্ধার করা বেশ দুরূহ।
জানা গেছে, এসব স্থাপনার মধ্যে বেশিরভাগই রাজউক থেকে আবাসিক স্থাপনার অনুমতি নিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন থেকে ব্যবসার জন্য নামমাত্র একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের দেওয়া এসব স্থাপনার ঠিকানা রাজউক নির্ধারিত কমার্সিয়াল এলাকায় দেওয়া হলেও অনুমতি না নিয়েই সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। অবশ্য দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি- দীর্ঘদিন যাবৎ আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন বন্ধ করতে এসব এলাকায় কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, তাদের আওতাধীন আবসিক এলাকায় বেশ কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছিল। সিটি করপোরেশনের নোটিস দেওয়ার পর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই নিজেরা চলে যায়। এ ছাড়া শতাধিক ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আর বাকি কিছু প্রতিষ্ঠান মামলা করেছে।
রাজউকের এমন ধীরগতিতে লক্ষ্যে পৌঁছানো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নগরবাসীও বিশেষজ্ঞরা। জানতে চাইলে-স্থপতি ও নগর বিশেষজ্ঞ ইকবাল হাবিব বলেন, রাজধানীর আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরানোর মূল কাজটি করতে হবে রাজউককে। কিন্তু এ ধরনের কাজ করার ব্যাপারে রাজউকের যথেষ্ট অনীহা রয়েছে। সেটা নগরবাসীর কাছে পরিষ্কার।
আর ঢাকার বাইরেও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকেই বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। যেখানে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নেই, সেখানে সিটি করপোরেশনকে এসব দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু কাউকেই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণের উদ্যোগ সফল না হওয়া খুবই হতাশাজনক। সরকারের এ উদ্যোগ সফল না হওয়ার পেছনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো দায়ী।