ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ২৪ নভেম্বর ২০২২

ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

ওয়াজ মাহফিল

ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এছাড়া ব্যক্তি বিশেষের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যও বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, এর আগে সংসদীয় কমিটি এসব বন্ধের জন্য সুপারিশ করে। এরপর বুধবার (২৩ নভেম্বর) কমিটির ১৩তম বৈঠকে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান ওয়াজ মাহফিলে বিতর্কিত আলোচনা হওয়ার প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। তিনি শীত মৌসুমে ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তি বিশেষের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত রাখার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।

তার সঙ্গে একমত পোষণ করে কমিটির সদস্য আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হিংসা, বিদ্বেষ বা উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য রাখা যাবে না। একটি গোষ্ঠী ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রচার করার মাধ্যমে বাধার সৃষ্টি করছে।

পরে বিষয়টি সুপারিশ আকারে বৈঠকে নিয়ে আসা হয়। বুধবারের বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীত মৌসুমে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তি বিশেষের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত রাখার বিষয়ে পুলিশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, এখন শীতকাল এসেছে। শীতকালে আমাদের দেশে ওয়াজ মাহফিল বেশি হয়। 

ধর্মীয় প্রচারের জন্য এসব ওয়াজ মাহফিল হওয়ার কথা। কিন্তু ইদানিং দেখেছি বক্তারা ধর্মীয় প্রচারের চেয়ে রাজনৈতিক কথা বলেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সমালোচনা করেন। আমরা এটা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে বলেছিলাম। মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি, তারা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। দেখি কতটা কার্যকর হয়।

এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (ইফাবা), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সব বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তা পাঠানো হয়েছিল।

 

এমএস

×