
বিদেশী নজর বেড়েছে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনও এক বছর চার মাস বাকি থাকলেও প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তিন প্রভাবশালী রাষ্ট্রের আগ্রহ বেশি। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে এই দেশগুলো চাইবে তাদের পছন্দের দল ক্ষমতায় থাকুক।
প্রত্যেক দেশেরই দ্বিপক্ষীয় সুযোগ-সুবিধা এবং চলমান উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে নিজেদের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কোন দল কার পছন্দ বা কাকে কোন দেশ চায় সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। সেটি স্পষ্টভাবে জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। যদিও তিনটিসহ আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা নাক গলাবেন না। তবে তারা চান অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। যাতে সব দল অংশ নেবে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দাবস্থা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বই এখন চাপে রয়েছে। সবদেশই নিজেকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণেই বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে প্রভাবশালী দেশগুলো।
একই সরকার টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তাই বাংলাদেশের প্রতি আকর্ষণ থাকাই স্বাভাবিক। সেই কারণে নির্বাচনের আগে বিদেশীদের যে সফর হচ্ছে এটা খুবই স্বাভাবিক। এসব সফর শুধু বাংলাদেশের স্বার্থেই হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রয়োজনও কম নয়। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার কারণে এর সবই হচ্ছে বলে তারা জানান।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশকে নিজেদের পাশে পেতে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ আছে। তিনি বলেন, তিনটি দেশই নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশকে তাদের পক্ষে চায়। চীনের অতিরিক্ত আগ্রহের কারণে দেশটির জাতীয় কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশ সফর করেছেন।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চলমান প্রকল্পের খোঁজখবরসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তাইওয়ান ইস্যুতে একচীন নীতিতে বাংলাদেশের সমর্থন চান। আগামীতে বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকারও করেন ওয়াং ই।
এর আগে তিস্তায় চীনের এক বিলিয়ন ডলার প্রকল্প প্রস্তাবে ভারতের উদ্বেগের কারণে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ চীন থেকে দূরে থাকুক। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার জোট (কোয়াড) বাংলাদেশকে চাইলেও মূলত চীনের আপত্তির কথা ভেবে বাংলাদেশ আপাতত দূরে রয়েছে।
তাই বাংলাদেশ কৌশলগত কোন জোটে না গিয়ে নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক রেখে ভারসাম্যের নীতি বজায় রেখেছে। এছাড়া মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ বেশ কিছু ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কিছুটা মতভেদ থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়।
গত ৭ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করেছেন মার্কিন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন। মিশেল জে সিসন বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, খাদ্য নিরাপত্তা, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা ইস্যু, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, শান্তি রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মতো ভারত কতটা ভূমিকা রাখবে সেটি এখনও বলা যাচ্ছে না। কারণ করোনা পরবর্তী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব পরিস্থিতি এখন বেশ ঘোলাটে। তবে বরাবরের মতো বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো চাইবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন। ইতোমধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্যই করেছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন পদ্ধতি ও নির্বাচন নিয়ে একটি অনলাইন প্ল্যাটফরমও তৈরি করা হয়েছে।
আর ভারত চাইবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক। কারণ ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবাদবিরোধী কর্মকা-ের কারণে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না।
সন্ত্রাসীরা আর বাংলাদেশের মাটি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারছে না। ফলে ভারতের সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোতে অস্থিরতা অনেক কমেছে। এটি ভারতের জন্য স্বস্তি দিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ভারত সরকারের দায়িত্বশীলদের মন্তব্যে এমন আভাসই পাওয়া যাচ্ছে। তাই তারা চাইবে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরাই আগামীতে ক্ষমতায় থাকুক।
আর চীন চাইবে আগামীতে যেই আসুক সে যেন আমেরিকার পক্ষে না যায়। ফলে নির্বাচন ঘিরে আসলে কী অবস্থা হবে সেটা দেখতে হলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগেই দুদেশের নদীর পানি প্রবাহ নিয়ে একাধিক চুক্তির আভাস দিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম। এর আগে ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন।
এখন ফিরতি সফরে যাওয়া স্বাভাবিক বিনিময়ের অংশ। তবে এই সফরের সুযোগে রাজনীতির ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চয়ই শেখ হাসিনা ও মোদি কথা বলবেন। কারণ আগামী নির্বাচনের আগে এটিই সম্ভবত শেখ হাসিনার শেষ সফর। তাই হাসিনার সফরের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা কূটনীতিকদের।
সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় প্রভাবশালী রাষ্ট্র চীন বেশ চাপে আছে। যুক্তরাষ্ট্র কিছুদিন ধরে চীনকে প্রতিযোগী ভাবছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও চীনের ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্র নাখোশ। তার ওপর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করায় চীনারা চাপে পড়েছে।
এছাড়া জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কোয়াড গঠন করেছে। কেউ কেউ আবার বলছে, শ্রীলঙ্কায় ঋণের ফাঁদের জন্য চীন দায়ী। এছাড়া পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য চীনা ঋণকে দুষছেন দেশটির জনগণ। এসব নিয়ে চীন এক ধরনের চাপে আছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে চীন তার বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাই করছে। বন্ধুদের কাছে আবারও শুনতে চায় যে, তাইওয়ান চীনের অংশ। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে সম্পর্কের কাঠামোতে যেন কোন পরিবর্তন না ঘটে বেজিং সেটাই প্রত্যাশা করে। এ কারণে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া সফর করেছেন। দেশটির বিরুদ্ধে যে বিষয়গুলো নিয়ে প্রচারণা চলছে; সেগুলোর ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী হওয়ায় অনেকের আগ্রহ বাড়ছে। বিনিয়োগকারীরা সাধারণত এমন দেশে বিনিয়োগ করে যেখান থেকে তারা রিটার্ন পাবে। সিঙ্গাপুরের মতো ছোট দ্বীপ যেখানে মাত্র ৬০ লাখ মানুষের বাস; সেখানে গোটা বিশ্বের আগ্রহ রয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে বাংলাদেশ ৫০ বছরে একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের প্রতি আকর্ষণ থাকা স্বাভাবিক। ফলে বিদেশীদের যে সফর হচ্ছে এটা খুবই স্বাভাবিক। বরং অর্থনৈতিক কাঠামোর ক্ষেত্রে আরও বেশি বিদেশীকে আমাদের আকৃষ্ট করার কথা। কোভিড আমরা সামলাতে পেরেছি। জ্বালানি সঙ্কট সামলাতে পারলে আরও বিদেশী আমাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে। বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশে বিভিন্ন মিশনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা ইতোমধ্যে সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ে, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকও করেছেন। তাদের বৈঠকে গুরুত্ব পায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন পদ্ধতি।
গত আড়াই মাসে বিদেশী কূটনীতিকদের দৌড়ঝাপের বিষয়ে সংসদে ও সংসদের বাইরে কঠোর সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ‘বিদেশীদের কাছে ধরনা দেয়া রাজনৈতিক দৈন্যতার বহিঃপ্রকাশ’ বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশের নির্বাচনের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা নানামুখী তৎপরতা শুরু করে থাকেন। সরকারের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নানা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে আলোচনা করেন তারা।
ইতোপূর্বে রাজনীতিকদের উদ্দেশে নৈশভোজেরও আয়োজন করতে দেখা গেছে প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের। বরাবরের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বহু বছর আগে থেকেই সেই তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পর কূটনীতিকদের তৎপরতা জোরদার হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পর গত ৮ জুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। ২৬ জুন সাক্ষাত করেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর। এরপর গত ৩ জুলাই একসঙ্গে ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত যান ইসিতে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টভুক্ত (ওইসিডি) ৩৮টি দেশের মধ্যে সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, তুরস্ক এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত ইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
কূটনীতিকদের পৃথক তিনটি সাক্ষাতেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় তাঁরা আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশ গ্রহণমূলক অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চান বলে ইসিকে জানিয়েছে। এজন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দেন।
গত ৭ জুন রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আগামী বছরের শেষে নির্বাচন হওয়ার কথা। এই নির্বাচনের ব্যাপারে আমি সরকারের দিক থেকে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। আমি আশা করব, গতবারের তুলনায় এবার ভাল, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার পদক্ষেপ নেবে। এরপর গত ১৩ জুলাই ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ১২ জুলাই জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
গত ১৭ মার্চ জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সাক্ষাত হয়। অবশ্য ওই সাক্ষাতে আলোচনার বিষয় বিএনপি নেতারা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন উল্লেখ করে অন্য একটি অনুষ্ঠানে জার্মান দূত বিরক্তি প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি যতই বিদেশীদের সঙ্গে কথা বলুক; এতে কোন লাভ হবে না। যুক্তরাষ্ট্র যত বড় ক্ষমতাধর দেশই হোক না কেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে তাদের কোন কিছু করার নেই।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। একই দিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি।