ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মতবিনিময়ে খাদ্যমন্ত্রী

ধান-চাল সংগ্রহে অনিয়ম সহ্য করা হবে না

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ৫ মে ২০২১

ধান-চাল সংগ্রহে অনিয়ম সহ্য করা হবে না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সরকারী বোরো ধান-চাল সংগ্রহে অনিয়ম রোধে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তদারকি চান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মঙ্গলবার (৪ মে) মিন্টো রোডের সরকারী বাসভবন থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবেলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোন অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে বলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোন কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যান, কৃষক যেন কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হন। ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এবারের বোরো মৌসুমে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক হবে। বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো আমাদের দেশও একটা মহামারীর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে; খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে, ভাল আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিত্যনতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি; তেমনি করোনা পরবর্তী খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্যেও আমাদের এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে। সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরার আহ্বান জানান মন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বলেন, কোনভাবেই পুরনো চাল নেয়া যাবে না। চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের চাল। পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
×