ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হিলি সীমান্তে ভাষার টানে দুই বাংলার মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 হিলি সীমান্তে ভাষার  টানে দুই বাংলার মিলনমেলা

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষার টানে দুই বাংলার হাজার হাজার ভাষাপ্রেমী এক হয়ে যান। কাঁটাতারের বিভেদ ভুলে সীমান্তের শূন্যরেখা যেন পরিণত হয় দুই বাংলার মিলনমেলায়। শুক্রবার সকালে হিলি সীমান্তে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। একসঙ্গে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে, বুকে বুক মিলিয়ে, কথা বলে, গান গেয়ে বাংলা ভাষাভাষী এক জাতিতে পরিণত হন দুই রাষ্ট্রের বাসিন্দারা। হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতের পক্ষে ভারতের উজ্জীবন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সুরুজ দাস ও বাংলাদেশের পক্ষে হাকিমপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার লিয়াকত আলি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে দুই দেশের শিল্পীরা কবিতা আবৃতি ও গান পরিবেশন করেন। এর পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়। এ সময় সেখানে হাকিমপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন, ভারতের জয়েন্ট মুভমেন্ট করিডোরের আহ্বায়ক নবকুমার দাশ, মুক্তিযোদ্ধা সামসুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উজ্জীবন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সুরুজ দাস, করিডোরের আহ্বায়ক নবকুমার দাশ বলেন, ‘দুই দেশের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ আয়োজনে আজ ষষ্ঠ বছরের মতো একত্রে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। তবে গত বারের মতো জাঁকজমকের সঙ্গে অনুষ্ঠান করতে না পারায় কিছুটা দুঃখ লাগছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দুই দেশকে বিভাজন করতে পারলেও আমাদের মন, আত্মা ও ভাষাকে বিভাজন করতে পারেনি। এপার বাংলা-ওপার বাংলা নয়, বাংলা অমর হোক সব বাঙালী তথা সারা বিশ্বের কাছে।’ হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহীন বলেন, ‘গত বছরে দুই বাংলা একসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে একুশে উদযাপন করলেও এবারে নানা কারণে হয়ে উঠেনি। তবে আগামীতে আবারও এক সঙ্গে দুই দেশ মিলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করবে। আমাদের যে ধারাবাহিকতা সেটি অব্যাহত রয়েছে ও থাকবে।
×