নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ১৮ আগস্ট ॥ বরগুনার বেতাগীতে স্বামীকে আটকে রেখে শ্রেণীকক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু পরিবারের এক সহকারী শিক্ষিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল দশটার দিকে ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক পিপিএম। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেতাগী থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মোঃ হিরন বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস (৩৫), আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে মোঃ রাসেল (২৪), আঃ কুদ্দুস কাজীর ছেলে সুমন কাজী (৩০), মোঃ সুলতান হোসেনের ছেলে মোঃ রবিউল (১৮), আঃ রহমানের ছেলে মোঃ হাসান (২৫) ও মোঃ আবদুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মোঃ জুয়েল (৩০)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকা ও তার স্বামী ভারতের পূর্ব মোদেনীপুর জেলার নন্দী গ্রামের বাসিন্দা। তারা বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পরে বিদ্যালয়ে বসে কথা বলছিলেন। তাদের কথোপকথন দেখে অভিযুক্তরা স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে ওই শিক্ষিকা ভয়ে স্কুলের প্রধান দরজায় তালা লাগিয়ে দেন।
এ সময় অভিযুক্তরা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রেখে অপর একটি কক্ষে স্কুল শিক্ষিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায়।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মামুন-অর-রশিদ জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা মামলা দায়ের করেছেন। তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।