নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৩ অক্টোবর ॥ একাত্তরে স্বামী-স্বজন ও সম্ভ্রমহারা মায়েদের সম্মানে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর ‘বিধবাপল্লী’ এখন থেকে ‘বীরকন্যা পল্লী’ হিসেবে অভিহিত হবে। সাবেক সেনাপ্রধান মোঃ হারুন-অর-রশিদ বীরপ্রতীক সোমবার বিকেলে ‘বীরকন্যা পল্লী’তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই কথা বলেন। ওইসময় তার সঙ্গে একমত পোষণ করে বক্তব্য রাখেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক ডাঃ এ এম পারভেজ রহিমসহ সংশ্লিষ্টরা। ওইসময় বীরকন্যা পল্লীতে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সু-চিকিৎসাসহ বীরকন্যাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে অতিথিবৃন্দ সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
ওইদিন সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকাস্থ স্বেচ্ছাসেবী নারী সংগঠন ‘চেষ্টা’র উদ্যোগে নালিতাবাড়ীর ‘বীরকন্যা পল্লী’তে সোহাগপুরের ২৫ বীরাঙ্গনার মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান মোঃ হারুন-অর-রশিদ বীরপ্রতীক।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক ডাঃ এ এম পারভেজ রহিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, সহকারী কমিশনার ভূমি জেবুন্নাহার শাম্মী ও নারী সংগঠন চেষ্টা’র সভানেত্রী সেলিনা বেগম। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হোসেন মাস্টার, ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ তালুকদার মুকুলসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সোহাগপুরে পাকহানাদার বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালিয়ে নিরীহ ও নিরস্ত্র ১৮৭ জন মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। সেদিনের ঘটনায় ওই গ্রামের ৩৪ জন নারী বিধবা হন। আর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন ১৪ নারী। ইতোমধ্যেই সরকার ৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে। বাকিরা স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: