ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

কাতারস্থ বাংলাদেশ স্কুলের পিটিএ ও জিবি’র নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি

নুরে আলম জাহাঙ্গীর, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কাতার

প্রকাশিত: ০২:৩৮, ১৫ জুন ২০২৫

কাতারস্থ বাংলাদেশ স্কুলের পিটিএ ও জিবি’র নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি

আগামী ২০ ও ২১ জুন কাতারস্থ বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডি (জিবি) ও পিটিএ (অভিভাবক-শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ১০ জুন কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে অভিভাবকদের এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও উল্লেখ করা হয়—

১০-১৪ জুন: মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

১৬ জুন: ফরম জমাদান

১৭ জুন: ফরম বাছাই

১৮ জুন: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ

স্বল্প সময়ের এই ঘোষণায় কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন, নির্বাচন আয়োজনের এ সময়সূচি যথেষ্ট অযৌক্তিক এবং অভিভাবকদের জন্য অত্যন্ত অসুবিধাজনক।

গত ১২ জুন তারা দূতাবাসে গিয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ তারিখ বাতিল করে নতুন, সুবিধাজনক ও গ্রহণযোগ্য তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

তাদের বক্তব্য—২৭ মে থেকে শুরু হওয়া প্রাক-নির্বাচনী ও অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলবে ২৬ জুন পর্যন্ত। এ সময়ে প্রতিটি অভিভাবকেরই মূল দায়িত্ব সন্তানদের যত্ন নেওয়া ও পড়ালেখায় মনোযোগী রাখা। কিন্তু প্রার্থী হিসেবে যদি কোনো অভিভাবককে ভোট চাইতে অন্য অভিভাবকের বাসায় যেতে হয়, তা শুধু নিজের সন্তানের নয়, অন্যদেরও পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটাবে। এটি কোনো সচেতন অভিভাবকের কাজ হতে পারে না।

এছাড়া, পরীক্ষা শেষে অনেক অভিভাবক দুই মাসের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে দেশে বেড়াতে যাবেন। ফলে বাস্তবতা বিবেচনায় গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা কাতারে ফিরে আসলে, উপযুক্ত সময়েই নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন সকলে।

নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়েও অভিযোগ তোলেন অনেকে। তাদের দাবি, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে "ফ্যাসিস্টদের দোসরদের" রাখা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তারা সকল রাজনৈতিক প্রভাব ও পক্ষপাতমূলক ব্যক্তিকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখার জোর দাবি জানান।

কমিউনিটি নেতারা বলেন, এভাবে তড়িঘড়ি করে, নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়ে নির্বাচন করলে তা কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না।

রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম অভিভাবকদের এ যৌক্তিক দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, তিনি সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।

অভিভাবক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:
মোঃ আবু ছায়েদ, শহীদুল হক, শরীফুল হক সাজু, এ কে এম আমিনুল হক, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, আলমগীর হোসেন আলী, মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম সারোয়ার মিশু, মহিউদ্দিন কাজল, মোকাররম আলী সাহাদ, দিদারুল আলম আরজু সহ প্রায় শতাধিক অভিভাবক ও কমিউনিটি নেতা।

ফরিদ 

×