বই প্রকাশ অনুষ্ঠান
'৭১ সালে ভূখণ্ড স্বাধীন হয়েছিলো আর ২০২৪ সালে এদেশের জনগণ স্বাধীন হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
প্রকাশনা সংস্থা গ্যাব্রিয়েল প্রকাশ করেছে গবেষক ও আইনজীবী মোহাম্মদ পি কে আব্দুর রব রচিত ইতিহাসভিত্তিক বই "ইতিহাসের স্বাক্ষী (প্রসঙ্গঃ ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশ)৷ বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন ভারত ভেঙে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান নামক একটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলেও ভারতের অবশিষ্ট অংশ ব্রিটিশ কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়েছিলো।
তিনি বইটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মুসলিম লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বইটি নিয়ে আলোচনা করেন এবি পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় জাদুঘরের সাবেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলমগীর, মুসলিম ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামি, প্রকাশক মাহাদী আনাম।
এবি পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, পৃথিবীর সকল স্বৈরশাসক যেভাবে পালিয়েছে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকেও দিনের আলোতে, এক কাপড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। নমরুদ, ফেরাউন, গাদ্দাফি, সাদ্দাম ও শেখ মুজিবুর রহমানের মতো স্বৈরশাসকরা টিকতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার হাসিনাও টিকতে পারেনি। এই বইটিতে স্বাধীনতার ইতিহাস গ্রন্থিত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে এই বইটি পৌঁছে দিতে হবে। দিল্লি বর্তমানে আমাদেরকে ভয় দেখায়, তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, আমাদেরকে ঘাঁটাবেন না, আমরা দিল্লি জয় করা মানুষ। আমরা ইঁদুর মারার জন্য ঘর পুড়িয়ে দিতে পারি।
লেখক পি কে আব্দুর রব বলেন, আমাদের জনগণ সব সময় সঠিক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত বলে এই বইটি লিখার আগ্রহ হয়েছে। আমরা খুবই দুর্ভাগা জাতি, আমাদেরকে দুইবার স্বাধীন হতে হয়েছে। ৭১ সালে ভূখণ্ড স্বাধীন হয়েছিলো আর ২০২৪ সালে জনগণ স্বাধীন হয়েছে।
তবে, এই স্বাধীনতা ও এই বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য পরাজিত স্বৈরাচার এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার খুনি হাসিনার দোসরদেরকে নতুন করে প্রতিহত করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন নিমিখ ব্যানার্জি। ৯৬ পৃষ্ঠার এই বইটির দাম ২২৫ টাকা।
এসআর