![চার্লস সিমিক ও তার কবিতা চার্লস সিমিক ও তার কবিতা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023May/shahita-3-2402291627.jpg)
চার্লস সিমিক
চার্লস সিমিক সার্বীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কবি। ১৯৩৮ সালের ৯ মে তিনি যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডে জন্মগ্রহণ করেন। সিমিক একজন সব্যসাচী লেখক। তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। ১৯৯০ তে পান পুলিৎজার পুরস্কার পান গদ্য কবিতার সংকলন ঞযব ডড়ৎষফ উড়বংহ’ঃ ঊহফ এর জন্য। তিনি পোয়েট লরেট ছিলেন ২০০৭-২০০৮ পর্যন্ত। তার কিছু কবিতা সংক্ষিপ্ত এবং পরাবাস্ততার ভাবধারায় লেখা। সেখান থেকে তিনি বের হয়ে এসেছেন দৃঢ়ভাবে বাস্তববাদী ও উন্মাদনাপূর্ণ বিষয়ে।
তার কবিতায় আছে কিছু বিদ্রুপাত্মক হাস্যরস এবং চমকপ্রদ রূপকতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেলগ্রেডে শৈশবের ভীতিকর স্মৃতি এসেছে তার কবিতায়। কিশোর বয়সেই তিনি চলেন আসেন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাতের ক্লাসে ভর্তি হন। আর দিনের বেলা শিকাগো সান টাইমসে প্রুফ রিডার ও অফিস বয় হিসেবে কাজ করতেন। নিউইয়র্কে আসেন ১৯৫৮ সালে। সেখানে তিনি দিনে করতেন কাজ আর রাতে লিখতেন কবিতা। একুশ বছর বয়সে তার কবিতা প্রকাশিত হয় শিকাগো রিভিউয়ের শীত সংখ্যায়।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরের বছর প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ What the Grass Says। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিরিশ। তিনি সম্পাদনা করেছেন। ফরাসী, সার্বীয়, ক্রোশীয় ও অন্য ভাষার কবিদের লেখা তিনি অনুবাদ করেছেন। ১৯৭৩ সাল থেকে তিন দশক অধ্যাপনা করেন নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে।
২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ৮৪ বছর বয়সে নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডোভার পরিসেবা কেন্দ্রে মারা যান। ভুগছিলেন স্মৃতিহীনতায়। তিনি লেখায় দৈনন্দিন জীবনের কোনো এক মামুলি বিষয়ের অবতারণা করে সেখান থেকে নিয়ে যান অন্তহীন কোনো ভাবনায়। তার ‘পাথর’ কবিতা এমনই একটা কবিতা।