ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিন পালন

সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলা ভাষার চর্চাটা যেন অব্যাহত থাকে

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর 

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ১৩ নভেম্বর ২০২২; আপডেট: ১৮:৩৫, ১৩ নভেম্বর ২০২২

সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলা ভাষার চর্চাটা যেন অব্যাহত থাকে

নুহাশ পল্লীতে প্রয়াত সাহিতিক হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন পালন। 

জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিন তার পরিবার এবং ভক্তরা ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে হুমায়ূন আহমেদের হাতে গড়া নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন করা হয়। রবিবার সকাল থেকেই হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা কবরে শ্রদ্ধা জানাতে নুহাশ পল্লীতে ভিড় জমায়। 

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, শনিবার রাত ১২টা ১মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে হুমায়ূন আহমেদের হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতে এক হাজার ৭৪টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভোরে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছেলে নিশাত ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন। 

পরে সকালে তিনি দুই ছেলেসহ নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারি ও হুমায়ুনভক্তদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। তারা লেখকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন।  

প্রয়াত লেখকের কবর জিয়ারত শেষে নুহাশপল্লীতে হোয়াইট হাউসের পাশে স্থাপিত হুমায়ূন আহমেদের ম্যূরালের সামনে আপেল গাছ তলায় দুই ছেলে নিশাত ও নিনিতকে নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের ৭৪তম জন্মদিনের কেক কাটেন মেহের আফরোজ শাওন। জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এসময় শতাধিক হুমায়ূনভক্ত, গণমাধ্যমকর্মী ও নুহাশপল্লীর কর্মচারীরাসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। 

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল আরো বলেন, হুমায়ূন আহমেদের জম্মবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশপল্লীতে প্রতিবারের মতোই আয়োজন রয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ জীবিত থাকার সময় যেভাবে জন্মদিন পালন করতেন তার মৃত্যুর পর ঠিক একই ভাবে প্রতিবছর প্রিয় লেখকের জন্মদিন পালন করা হয়। রাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। 

মেহের আফরোজ শাওন জন্মদিনের কেক কাটা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বলেন, ঢাকা, চট্রগ্রামসহ বড় বড় শহরের অনেক ধনী পরিবারের ছেলে মেয়েরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে লেখাপড়া করে। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার কারণে বাচ্চাদের মধ্যে বাংলার একটি ভয় ঢুকে যায়। বিশেষ করে করোনা মহামারীর কারণে শিশুরা অনলাইনে ক্লাস করায় অনেক শিশু মোবাইলের দিকে ঝুঁকে গেছে। বাধ্য হয়ে বাবা-মাই শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছে। শিশুরা দিন দিন মোবাইলে আসক্তি হয়ে যাচ্ছে। এখন ইচ্ছে করলেও তাদের সেখান থেকে ফিরানো সম্ভব হচ্ছে না। হুমায়ুন আহমেদের দর্শনে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলা ভাষার চর্চাটা যেন অব্যাহত থাকে-এমন প্রত্যাশার কথা জানান লেখকের স্ত্রী।

উল্লেখ্য, সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নবেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়। 

এমএস

×