
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে ওট্সের তুলনা নেই
ওজন কমানোর পরিকল্পনা যারা করছেন, তাদের জন্য প্রাতরাশে ওট্স একটি অত্যন্ত পছন্দের খাবার। এই খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। ওটসে ক্যালোরির মাত্রা কম। এ ছাড়াও ওজন ঝরাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে ওট্সের কোনো তুলনা নেই। এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়।
পুষ্টিবিদরা বলেন, সারা রাত ওট্স ভিজিয়ে রেখে খাওয়া বেশি ভালো। রইল ওটসের তেমনই কিছু রেসিপির রেসিপি
১. ওট্স ফাজ: আধ কাপ ওট্স এবং এক টেবিল চামচ চিয়া বীজ একটি কাচের জারে ভরে এক কাপ দুধ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার ও এক টেবিল চামচ মেপল সিরাপ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। কাচের বয়ামে ঢাকনা লাগিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রাখুন। সকালে পছন্দের ফল ও বাদাম কুচি ছড়িয়ে সেরে ফেলুন প্রাতরাশ।
২. চকোলেট-কলা ওট্স: একটি পাত্রে অর্ধেকটা কলা নিয়ে ভালো করে মেখে নিন। তাতে আধ কাপ ওট্স, এক কাপ দুধ, এক চামচ কোকো পাউডার, এক চামচ চিয়া বীজ, দুই চামচ গ্রিক ইয়োগার্ট, দুই চামচ মেপল সিরাপ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি ঢাকা দেওয়া কাচের পাত্রে ভরে ফ্রিজে রেখে পরের দিন সকালে খেতে পারেন।
৩. ওট্স পিনাকোলাডা: একটি পাত্রে ওট্স নিয়ে তাতে এক চামচ চিয়াবীজ, এক চামজ শুকনো নারকেল গুঁড়ো, এক কাপ আনারস, আধ কাপ নারেলের দুধ, এক চামচ গ্রিক ইয়োগার্ট, এক চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স ভাল করে মিশিয়ে নিন। একটি কাচের গ্লাসে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। ঘণ্টা চারেক পরে ঠান্ডা ঠান্ডা চেখে দেখুন পিনাকোলাডা।
এমএইচ