
ছবি: প্রতীকী
অলসতার কারণে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ পিছিয়ে পড়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস চর্চার মাধ্যমে অলসতা কাটিয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন যাপন করা সম্ভব। এই অভ্যাসগুলো নিয়মিত মেনে চললে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।
১. প্রথমে ছোট পদক্ষেপ দিয়ে শুরু করা উচিত। বড় পরিবর্তনের পরিবর্তে প্রতিদিন সামান্য কিছু করা সহজতর এবং ভয়ের মাত্রা কমায়।
২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা এবং দিনের কাজের পরিকল্পনা করা উচিত। এটি সময় ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে এবং দিনটি আরও উৎপাদনশীল হয়।
৩. কঠিন কাজ করতে শিখতে হবে। স্বাচ্ছন্দ্যের বাইরে গিয়ে কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলাই উন্নতির অন্যতম চাবিকাঠি।
৪. গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ এড়িয়ে চলা সময় ও শক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে।
৫. পরিষ্কার এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করার জন্য SMART পদ্ধতি কার্যকর, যেখানে লক্ষ্যগুলো হতে হবে নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, প্রাসঙ্গিক এবং সময়সীমাবদ্ধ।
৬. কাজের মাঝে ভুল হলে নিজের প্রতি কঠোর না হয়ে সেগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।
৭. নিজের যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অবসর সময় নিশ্চিত করা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৮. প্রয়োজন ছাড়াই সব কাজে রাজি না হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। অগ্রাধিকারহীন কাজ এড়িয়ে চললে সময় বাঁচে।
৯. একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ পরিবেশ গড়ে তুলতে ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং কাজের জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি করা দরকার।
১০. নিয়মিত চর্চা এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হলো অলসতা কাটানোর প্রধান উপায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসগুলো ধীরে ধীরে শৃঙ্খলার অভ্যাস তৈরি করবে। ছোট থেকে শুরু করলেও এটি সময়ের সঙ্গে বড় প্রভাব ফেলবে। অলসতা কাটিয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে হলে এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করা অত্যন্ত কার্যকর।
মেহেদী কাউসার