রূপচর্চা মানেই কিন্তু শুধু চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা নয়
রূপচর্চা মানেই কিন্তু শুধু চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা নয়, বরং শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের পরিপূর্ণতা ফুটিয়ে তোলা। ঋতুর পালাবদলে বর্তমানে দেশে শরৎকাল চললেও গ্রীষ্মের প্রখর রোদের মতো তাপ অনুভব হচ্ছে শরীরে। এই তীব্র গরম আর ধুলাবালির মধ্যে পুরুষদের বিভিন্ন কাজে প্রতিনিয়ত বাসার বাইরে থাকতে হয়। যদিও পুরুষদের ত্বক মেয়েদের ত্বকের তুলনায় কম স্পর্শকাতর, কিন্তু রুক্ষতা অনেক বেশি।
যার জন্য প্রতিনিয়ত এই রুক্ষতার সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে তরুণ এবং যৌবন বয়সের পুরুষদের। তবে একটু সময় আর মনোযোগ দিলে অল্প সময়ে হয়ে উঠতে পারে পুরুষদের সেরা রূপচর্চা বা ত্বকের যতœ। যেভাবে ত্বকের যতœ নিতে পারে পুরুষরা :
সানস্ক্রিন ব্যবহারের মাধ্যমে :
যেই ঋতুই চলুক না কেন বাইরের রোদ আর ধুলাবালি ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহারের বিকল্প নেই। কারণ, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকে লাগলেই ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করে বাইরে গেলে পুরুষদের ত্বকের সমস্যা হ্রাস পাবে।
ত্বক পরিষ্কার রাখুন :
শুধু বাইরে থেকে আসলে নয়, বরং ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে থাকলেও ত্বক পরিষ্কার রাখুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল বা মৃত কোষগুলো দ্বারা কোনো ক্ষতি হবে না। আর ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে চাইলে কেউ সাধারণ সাবানের বাইরে গিয়ে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। যদিও বর্তমান সময়ে নকল ফেসওয়াশ বাজারে বিদ্যমান রয়েছে। তাই দেখেশুনে কিনুন। তবে ফেসওয়াশ ব্যবহারের আগে নিজের ত্বকের অবস্থা বুঝুন এবং ত্বকের ধরনের ওপর নির্ভর করে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার পরিষ্কার করুন।
প্রয়োজন সাপেক্ষে সঠিক পদ্ধতিতে শেভ করুন :
নিয়মিত শেভ করা ব্যক্তিদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলতে হয়। সঠিক পদ্ধতিতে শেভ করতে মাল্টি ব্লেড রেজারের পরিবর্তে একক বা ডাবল ব্লেড রেজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। পাশাপাশি সাধারণ শেভের ক্রিমের পরিবর্তে ময়শ্চারাইজিং শেভিং ক্রিম ব্যবহার করুন। তবে সংবেদনশীল ত্বক যাদের, তারা ৩-৫ বার শেভের পর শেভের সব জিনিসপত্র পরিবর্তন করুন। এতে করে শেভের পর ত্বকের কোনো ক্ষতিসাধন হবে না এবং ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখুন :
একদিকে যেমন তৈলাক্ত ত্বক ভালো নয়। অন্যদিকে অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকও ভালো নয়। এ জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এটি শুধু ত্বককে উজ্জ্বল করে না, বরং চেহারায় বয়সের ছাপও কমিয়ে দেয়।
নিয়মিত গোসল করা:
গোসলে জীবাণুনাশক সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকে অনেক ধরনের ক্ষতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আবার খেয়াল রাখতে হবে ত্বকে যেন ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে না পারে। তাই গোসলের সময়ে হাল্কা গরম পানিতে পরিমাণমতো জীবাণুনাশক পদার্থ মিশ্রণ করলে ভালো হয়।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা :
চুল পরিষ্কার রাখার স্বার্থে যত সম্ভব চুল ছোট রাখতে হবে। এতে চুলের গোড়া পর্যন্ত পরিষ্কার করা যায়। চুল পরিষ্কার নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যদি চুলে খুশকির প্রকোপ দেখা দেয় সপ্তাহে ১-২ দিন জলপাই বা বাদামের তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও চাইলে বিভিন্ন হেয়ার প্যাক লাগানো যেতে পারে। তবে চুলের গোড়া শক্তিশালী করার জন্য প্রচুর রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন। যার জন্য চাইলে মাথা ম্যাসাজ করা যেতে পারে।