হেডফোন ব্যবহারে মতিস্কের ক্ষতি
প্রযুক্তিময় জীবনে অন্যতম প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ হেডফোন। যা ছাড়া তরুণ প্রজন্মের সময় কাটা দুষ্কর। রাস্তায় চলাফেরা কিংবা বাড়িতে বসে বা শুয়ে অনেকের ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে হেডফোন ব্যবহার করে। কিন্তু এতে তারা বুঝতেই পারছে না নিজের কতটা ক্ষতি করছে।
একটানা হেডফোন ব্যবহারে ক্ষতি হতে পারে কানের। হতে পারে রোগ বালাই। সেই সঙ্গে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই।
অনেকেই দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহারের সতর্কতাকে এড়িয়ে যান বা গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এই অবহেলা করে কঠিন সব রোগের ঝুঁকিতে পড়ছেন অনেকে।
মেডিকেল নিউজ টুডেতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিনিয়ত যারা হেডফোন ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে মস্তিষ্কের সমস্যাসহ কঠিন রোগ টিনিটাস এমনকি হিয়ারিং লস অর্থাৎ কানে কম শোনার সমস্যাও হতে পারে।
দেখে নিন, লাগাতার হেফোন ব্যবহার করলে কী কী ক্ষতি হয়...
টিনিটাস: টিনিটাস কানের অসুখ। এই রোগে আক্রান্তের কানে শোঁ শোঁ শব্দ হতে থাকে। যে শব্দ অন্যরা শুনতে না পেলেও আক্রান্ত ব্যক্তির কানে এ ধরনের শব্দ বাজতে থাকে। হেডফোন কানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হেয়ার সেলের ক্ষতি করায় এই শব্দ শুনতে পান।
শ্রবণশক্তি: হেডফোনে উচ্চস্বরে গান শোনার দীর্ঘদিনের অভ্যাস শ্রবণশক্তি কমিয়ে দেয়। এই সমস্যার নাম নয়েজ ইনডিউসড হিয়ারিং লস। মূলত হেডফোন ব্যবহারের কারণেই এই সমস্যা দেখা দেয়।
ব্যাকটেরিয়া: হেডফোন ব্যবহারের কারণে কানে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। হেডফোন ব্যবহারে কান পুরোপুরি বন্ধ হয়ে থাকে। এমনকি কানে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। এক্ষেত্রে কানে ব্যথা, পুঁজ ও রক্ত বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
মস্তিষ্ক সমস্যা: কানের পাশাপাশি মস্তিষ্কেরও সমস্যা বাড়ায় হেডফোন। এই যন্ত্রের কারণে ব্রেনের সুক্ষ্ম নার্ভের ক্ষতি হয়। এমনকি পরবর্তী সময়ে ডিজেনারেটিভ ডিজিজ হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে। তখন স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে।
এসব রোগের কোনো একটার উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। যাতে সুস্থ থাকা যায়।
এমএস