ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে কোমরের যে ক্ষতি

প্রকাশিত: ২২:০৩, ৭ নভেম্বর ২০২২; আপডেট: ২২:০৬, ৭ নভেম্বর ২০২২

দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে কোমরের যে ক্ষতি

কোমরে সমস্যা

সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা থেকে নামার সময়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর হন? হাত-পায়ের পেশিতে এমন টান ধরে যে, বিছানা থেকে নামাই দুষ্কর? কখনও আবার হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। 

দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করলেও কোমরের পেশিতেও টান ধরে। এই টান ধরার নেপথ্যে রয়েছে শরীরে জলের ঘাটতি।

বেশিক্ষণ বসে থাকলে শরীরে যে চর্বি জমা হয় সেগুলো ঝরে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। তখন শরীরে ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে জটিলতা তৈরি করে। যারা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন তাদের বেশিরভাগেরই ঘাড়, কাঁধ, কোমর এবং পিঠে ব্যথায় ভুগতে দেখা যায়।

চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে যাওয়া, কখনও টোকোফেরল, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ-র অভাব, পটাশিয়ামের ঘাটতির কারণেও পেশিতে টান ধরে। এছাড়া, গরমে ঘাম হয়ে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যায় বলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তাই ঘাটতি পড়ে পেশির স্থিতিস্থাপকতায়। 

সমস্যা সমাধানে যা যা করতে পারেন:

১. হাত-পা-আঙুল বা কোমরে ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে সেই স্থানে ও তার চারপাশে আঙুলের চাপে গরম তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন। এমনভাবে মালিশ করতে হবে, যাতে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।

২. পায়ে ক্র্যাম্পের ক্ষেত্রে মালিশের পর জায়গাটা একটু স্বাভাবিক হলে খুব কম চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। অন্য কোনো ব্যায়াম এই সময় না করাই ভালো।

৩. হট ব্যাগ টানধরা জায়গায় রাখুন। দশ সেকেন্ড রাখার পর সেখানে বরফ সেঁক দিন। ফের দশ সেকেন্ড পর হট ব্যাগ। এই ভাবে ঠান্ডা ও গরম সেঁক চালিয়ে যান আরাম না মেলা অবধি।

৪. হলুদ গুঁড়ো ও ফটকিরি একসঙ্গে বেটে নিয়ে সেই স্থানে টান লেগেছে সেখানে লাগিয়ে নিতে পারেন। মালিশ করার প্রয়োজন নেই। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

৫. এক বোতল জলে খানিকটা নুন গুলে অল্প অল্প করে খেতে থাকুন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই পেশি নমনীয় হবে, অস্বস্তি কমবে।

৬. অফিসে কাজ করার সময় কম্পিউটারের মনিটর রাখুন আপনার চোখ বরাবর। কাজ করার সময় মনিটর যদি খুব বেশি উঁচু বা নিচু থাকে তাহলে তা ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা এবং হাড়ের জোড়ে সমস্যা হতে পারে।

৭. কাজ করার সময় কাঁধ যেন আরামে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কাজ করার সময় কাঁধ বাঁকা না করে এবং বাহু ৯০ ডিগ্রি ভাবে সোজা রাখতে হবে। এতে কাঁধ ও ঘাড়ের ব্যথা এড়ানো সম্ভব।

৮.  পিঠের মাঝামাঝি অংশে বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে ঠেস দিন। এতে পিঠ নিরাপদে থাকবে এবং পিঠ বাঁকাবে কম। ফলে পিঠ বা মেরুদণ্ডে ব্যথা হবে না। 

৯. প্রতি আধ ঘণ্টা পর পর গলা ঘুরিয়ে এবং সম্ভব হলে নিজ সিট থেকে উঠে হাঁটাচলা করুন। এছাড়াও হাত মাথার উপরে এবং পাশে ঘুরিয়েও ব্যায়াম করা যায়।

এমএইচ

×