
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা পরীক্ষায় বাদ পড়াদের অভিযোগ এবার রাজপথে। ফলাফল নিয়ে গভীর অসন্তোষ আর প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে সাত দফা দাবি তুলে ধরেছেন তারা। একইসঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন—দাবি পূরণ না হলে ১৫ জুন এনটিআরসিএ ভবনের সামনে বসে যাবেন তারা, অবস্থান করবেন অনির্দিষ্টকালের জন্য।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এসব দাবি ও হুঁশিয়ারি দেন তারা। "একই পরীক্ষায় কোথাও ২৭ জন পাশ করে, কোথাও মাত্র ১ জন! এটা কেমন ন্যায্যতা?"—প্রশ্ন বঞ্চিতদের।
তাদের ভাষ্য, ভাইভা পরীক্ষার ফলাফল ছিল একপেশে, বৈষম্যমূলক এবং অস্বচ্ছ। প্রায় ২৩ হাজার প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। অনেকেই সঠিক উত্তর দেওয়ার পরও অকৃতকার্য হয়েছেন বলে দাবি তাদের।
ভাইভা বঞ্চিতদের ৭ দফা দাবি:
১. ১৮তম নিবন্ধনের ভাইভা ফলাফল পুনর্বিবেচনা করতে হবে। ২. বোর্ডভেদে পাসের হারে চরম বৈষম্য কেন? কোথাও মাত্র ১ জন, কোথাও ২৭ জন—এ বৈষম্যের ব্যাখ্যা চাই। ৩. আগের পরীক্ষাগুলোর তুলনায় এই বছর পাশের হার অস্বাভাবিকভাবে কম—এর কারণ ব্যাখ্যা ও সমাধান চাই। ৪. এ বছরের লিখিত পরীক্ষা ছিল ব্যতিক্রম ও কঠিন—তাই সবাইকে মৌখিক পরীক্ষার সনদ দেওয়ার দাবি। ৫. ফলাফল প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে তদন্ত চাই। ৬. ফলাফল প্রক্রিয়ায় কোনো অসঙ্গতি হয়েছে কি না—তা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭. ভাইভা ফলাফল পূনর্বিবেচনার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তাদের বক্তব্য, "যেখানে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি শূন্যপদ, সেখানে মাত্র ৬০ হাজার পাশ করলো কেন?"
বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ আরবি ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষার্থীরা। তাদের ক্ষেত্রে পাশের হার ছিল মাত্র ৫৩.৪৭% এবং ৫২.১%, যেখানে আগের বছরগুলোতে তা ছিল ৯০ শতাংশের ওপরে।
সবমিলিয়ে এনটিআরসিএর নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। তারা বলছেন, “আমরা ন্যায় চাই, দয়া নয়।”
১৫ জুন রবিবার, দাবি না মানলে এনটিআরসিএ ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি—এটাই তাদের পরবর্তী ঘোষণা।
Jahan