
সমর্থকদের রাজপথ ছাড়ার নির্দেশ সদরের
প্রভাবশালী ইরাকী শিয়া নেতা মোকতাদা আল-সদরের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণায় রাজধানী বাগদাদে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার শুরু হওয়া এ সহিংসতায় মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। সরকারী ভবনগুলোতে চড়াও হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এদিকে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানির পর নিজের সমর্থকদের ইরাকের রাজপথ ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকের শিয়া নেতা মোকতাদা আল-সদর। মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে সমর্থকদের এক ঘণ্টার মধ্যে রাজপথ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচারে দেখা যায় তার সমর্থকেরা রাজপথের অবস্থান ছেড়ে যেতে শুরু করেছেন। এদিকে ইরাকের সেনাবাহিনী কেবলই কার্ফু শেষ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে রাজপথে আবারও সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার মোকতাদা আল-সদর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পর তার সমর্থকেরা রাজধানী বাগদাদের সুরক্ষিত অঞ্চল গ্রিন জোনে ঢুকে পড়লে সহিংসতা শুরু হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই সহিংসতায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। ইরাক এবং জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানানোর পর মোকতাদা আল-সদর টেলিভিশণ ভাষণে বলেন, এটা কোনও বিপ্লব নয়।
প্রায় ১০ মাস আগে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি। মূলত ইরান সমর্থিত শিয়া গ্রুপগুলোর সঙ্গে মোকতাদা আল-সদর আলোচনায় অস্বীকৃতি জানানোর পর ইরাকে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়। এর জেরেই রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন সদর।
মঙ্গলবার ইরাকে আরও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দেশটির সঙ্গে থাকা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। মোকতাদা আল-সদরের ঘোষণার আগেই তার সমর্থকদের মেশিন গান এবং রকেট চালিত গ্রেনেড ছুড়তে দেখা যায়।
সুরক্ষিত গ্রীনজোনের কংক্রিটের দেয়ালের একটি অংশ গুড়িয়ে দেয় সদর সমর্থকেরা। গ্রীনজোনের অভ্যন্তরে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিচ্ছিন্নভাবে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। ইরাকের দুই মেডিক্যাল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্তত ৩০ জন নিহত এবং চারশ’র বেশি মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে সদর সমর্থক এবং তাদের বিরোধীরাও রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।