
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠেছে ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা জোটের আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সত্ত্বেও ঠেকানো যায়নি তেহরানের পাল্টা হামলা। ইহুদিবাদীদের ঘাঁটিতে ধ্বংস নামিয়ে এনেছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র। বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পর্যন্ত এই হামলার সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
ইরান-ইসরাইল সাম্প্রতিক যুদ্ধের এই সাফল্য নিয়ে বার্তা দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল শেখার্চি।
তিনি জানান, ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে ধ্বংস করতে সম্মিলিতভাবে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। এই হামলায় সমর্থন দেয় জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
প্রথম ধাপে ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে— যেগুলোর বেশিরভাগই নির্মাণ করেছে ইউরোপীয় দেশগুলো। তবে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে দাঁড়াতে পারেনি এফ-৩৫ এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমান। দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে যুদ্ধবিমানগুলো।
শেখার্চি বলেন, “ইহুদিবাদীদের অভিযানের প্রথম রাতেই আমাদের অনেক কমান্ডার শহীদ হন। কিন্তু আমরা দমে যাইনি। দ্রুত পুনর্গঠিত হয়ে আমাদের বিপ্লবী বাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে ইসরাইলে সফল হামলা চালিয়েছে।”
২৫ জুলাই, ইরানের সামরিক বাহিনীর এই কর্মকর্তার বরাতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ এজেন্সি এ খবর নিশ্চিত করে।
তিনি আরও জানান, “যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সমর্থনে ইসরাইল আমাদের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের টার্গেট করেছিল। কিন্তু সপ্তম দিনেই যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়। তখন ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি সংঘাতে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু পুরো সামরিক শক্তি ব্যবহার করেও তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়।”
গত ১৩ জুন, ইরান ঝড়ের মতো সামরিক হামলা চালায় ইসরাইলের বিমানঘাঁটিতে। নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। পরে মার্কিন প্রশাসন সরাসরি ইসরাইলের পক্ষে সংঘাতে যোগ দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়।
পাল্টা জবাবে, কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক বিমানঘাঁটি আল উদাইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। যদিও কাতার সরকার দাবি করে, ওই মিসাইলগুলো সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।
এরপর ২৪ জুন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরোতিতে যেতে বাধ্য হয় ইসরাইল।
শেখ ফরিদ