ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

দুবাইয়ের ফ্ল্যাটে কেরালার তরুণীর মরদেহ উদ্ধার, অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ২০:১২, ২১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:১৪, ২১ জুলাই ২০২৫

দুবাইয়ের ফ্ল্যাটে কেরালার তরুণীর মরদেহ উদ্ধার, অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে ২৯ বছর বয়সী এক ভারতীয় তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত আটুল্যা শেখর ভারতের কেরালার কোল্লাম জেলার বাসিন্দা। তার পরিবার দাবি করেছে, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিকে কেন্দ্র করে স্বামী সত্যেশ তাকে নির্যাতন করত।

২০১৪ সালে কোল্লামের বাসিন্দা সত্যেশের সঙ্গে আটুল্যার বিয়ে হয়। পরিবারের অভিযোগ, ১৮ ও ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে কোনো একসময় স্বামী তার গলা চেপে ধরেন, পেটে লাথি মারেন এবং থালা দিয়ে আঘাত করেন, যার ফলে তিনি মারা যান।

মৃত আটুল্যার পরিবার জানায়, বিয়ের সময় সত্যেশকে ৪০ ভরি সোনা এবং একটি মোটরসাইকেল দেওয়া হয়েছিল। এরপরও তিনি যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যান।

এ ঘটনায় সত্যেশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে শারজাহ পুলিশ।

এ মাসের শুরুর দিকে একইভাবে আরেক কেরালার নারী ও তার শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয় শারজাহর একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। নিহত ভিপাঞ্চিকা মনিয়ান কেরালার কোল্লাম জেলারই বাসিন্দা। ৮ জুলাই তার ও তার এক বছর বয়সী কন্যা সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা।

বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় মালায়ালাম ভাষায় লেখা একটি হাতে লেখা চিরকুট, যেখানে নির্যাতন ও মানসিক যন্ত্রণা সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ ছিল। ভিপাঞ্চিকার পরিবার স্বামী নিধীশ ভালিয়াভিট্টিল এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে।

তারা জানায়, ২০২০ সালে বিয়ে হওয়ার পর তারা শারজাহ চলে যান। বিয়ের পর থেকেই তাদের মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হতো, তার চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করা হতো এবং তাকে একঘরে করে রাখা হতো।

এদিকে, ভারতের উত্তর প্রদেশের বাগপত জেলায়ও যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের জেরে আত্মহত্যার আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। ২৮ বছর বয়সী মনীষা নামের এক নারী, যিনি ২০২৩ সালে নয়ডার বাসিন্দা কুন্দনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, নিজের শরীরেই আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন।

তার হাত, পা ও পেটে কলম দিয়ে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কুন্দন ও তার পরিবার দায়ী।’

তিনি লিখেছেন, তার পরিবার বিয়েতে ২০ লাখ রুপি খরচ করেছে এবং একটি বুলেট মোটরসাইকেলও দিয়েছে, তবুও কুন্দনের পরিবার বারবার গাড়ি ও মোটা অঙ্কের নগদ অর্থ দাবি করতো।

 

সূত্র: এনডিটিভি।

রাকিব

×