
ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে কলকাতায় একুশে জুলাইয়ের শহীদ তর্পণের মঞ্চ থেকে ভোটাধিকার ও নাগরিকত্বের রাজনীতিকে সামনে নিয়ে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি।
বাংলায় কথা বলার জন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলা ভাষার ওপর আক্রমণ হচ্ছে। বাংলা ভাষার ওপর সন্ত্রাস চলছে। এরই প্রতিবাদে আবার ভাষা আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছেন।
মমতা ঘোষণা করেন, ২৭শে জুলাই থেকে প্রতি শনি ও রোববার বাংলা ভাষার ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মিটিং-মিছিল করুন। প্রতিবাদে নামুন। এবার শুরু হলো ভাষা রক্ষার শপথ। এই ‘আন্দোলন’ চলবে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত।
মমতা বলেন, বাংলার মানুষকে যদি বাংলা বলার জন্য বাইরে গ্রেপ্তার করা হয় এই লড়াই কিন্তু দিল্লিতে হবে। তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি, কতো জেল আছে, কতো ডিটেনশন ক্যাম্প আছে- দেখে নেবো।
মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার নোটিফিকেশন দিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বলছে একমাসের জন্য যাকে সন্দেহ হবে জেলে আটকে রাখবে ডিটেনশন ক্যাম্প করে। যার জন্য এক হাজারের বেশি বাংলাভাষী মানুষকে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
এদিনের ভাষণে মমতা এনারসি নিয়েও সরব হয়েছেন। তিনি বিজেপি’র বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে বলেন, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
সানজানা