
ছবিঃ সংগৃহীত
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখায় ভারত, চীন ও ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ধাপের নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ন্যাটো। জোটটি জানিয়েছে, এই তিন দেশ যদি রাশিয়ার সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে, তাহলে তাদের ওপর কড়াকড়ি শুল্ক আরোপ করা হবে, যা অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা দিতে পারে।
এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)-এর মহাসচিব মার্ক রুট।
বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "আপনি যদি ভারত, চীন অথবা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে বিষয়টি এখনই গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করুন। কারণ এর প্রভাব আপনার দেশের ওপরই পড়বে।"
ন্যাটো মহাসচিব আরও বলেন, “এখনই সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তি আলোচনার গুরুত্ব বোঝানোর। নতুবা এই তিন দেশকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চরম চাপে পড়তে হবে।”
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এক হুঁশিয়ারিতে বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়া যদি প্রস্তুত না হয়, তাহলে তাদের ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপ করা হবে। সেই সঙ্গে যারা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে, তাদের ওপরও দ্বিতীয় ধাপের শুল্ক বসানো হবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ন্যাটো ও পশ্চিমা মিত্ররা এবার আরও বেশি চাপ প্রয়োগের পথে হাঁটছে। ভারত, চীন ও ব্রাজিল এর আগে বিভিন্ন সময়ে রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হয়েছে। তবে এই তিন দেশ এখন পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অটল রয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “রাশিয়া নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রস্তুত।” সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “মস্কো ইতোমধ্যেই নজিরবিহীন চাপ মোকাবিলা করেছে এবং ভবিষ্যতের চাপও সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম।”
এদিকে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ন্যাটো মহাসচিব বলেন, "এই বিষয়টি প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক—দুইভাবেই বিবেচিত হচ্ছে। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইউরোপীয় মিত্র এবং ইউক্রেনীয় সামরিক কর্তৃপক্ষকে।"
ইমরান