ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

জার্মান আদালতের রায়

আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া অবৈধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২০, ৯ জুলাই ২০২৫

আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া অবৈধ

.

জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, সীমান্ত থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে জার্মানির অবশ্যই ইইউর ডাবলিন পদ্ধতি মানতে হবে। দেশটির সরকারের নতুন অভিবাসন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করেছে এই রায়। তবে সরকার বলেছে, সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো অব্যাহত থাকবে।

বার্লিনের প্রশাসনিক আদালত বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডাবলিন পদ্ধতি অনুসরণ না করে সীমান্ত থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানো অবৈধ। খবর বিবিসির।
জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মেয়ার্জের জন্য আদালতের এই রায় এক ধাক্কা। কারণ তিনি অভিবাসনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। গত মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অনিয়মিত অভিবাসনরোধে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ ও কেউ সীমান্তে আশ্রয়ের আবেদন করলেও তাকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা দেন। জার্মানির সঙ্গে পোল্যান্ডের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দেন। নতুন অভিবাসন নীতির আওতায় গত ৯ মে তিন সোমালি নাগরিককে পোল্যান্ডের সঙ্গে জার্মানির সীমান্তে আটকে দেওয়া হয় এবং তাদের পোল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হয়। জার্মান ভূখ-ের কোনো সীমান্ত চৌকিতে যারা আশ্রয়ের আবেদন করেন ডাবলিন পদ্ধতি অনুযায়ী তাদের আশ্রয়ের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব কোন দেশের তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফেরত পাঠানোর নিয়ম নেই বলে জানিয়েছে জার্মান আদালত।

আলোচিত তিন ব্যক্তি, যাদের দুজন পুরুষ এবং একজন নারী, গত ৯ মে পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে জার্মানিতে পৌঁছেছিলেন। জার্মানির কেন্দ্রীয় পুলিশ তাদের ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের ফ্রাঙ্কফুর্ট আন ডেয়ার ওডর রেলওয়ে স্টেশনে থামিয়ে দেন। সেই তিন ব্যক্তি বলেছেন, তারা জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করতে চান। কিন্তু সেদিনই তাদের পোল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হয়। পুলিশ আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছে, তারা একটি তৃতীয় নিরাপদ দেশ থেকে এসেছিলেন। আদালত অবশ্য এই রায়ও দিয়েছেন, আশ্রয়প্রার্থী জার্মানির ভেতরে প্রবেশের দাবি করতে পারেন না এবং ডাবলিন আশ্রয় পদ্ধতি সীমান্তে বা সীমান্তের কাছাকাছি এলাকাতেও প্রয়োগ করা যাবে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট নতুন অভিবাসী নীতি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছেন। 
তিনি বলেছেন, আদালতের রায়টি সুনির্দিষ্ট একটি মামলার জন্য প্রযোজ্য এবং তার সরকার নতুন অভিবাসন নীতির প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। ডোব্রিন্ডট বলেন, আমরা পুশ ব্যাক অব্যাহত রাখব। আমরা মনে করি আমাদের কাছে এরপক্ষে আইনি যুক্তি রয়েছে। তিনি বলেন, আদালতের অনুরোধ অনুযায়ী পুশ ব্যাকের পক্ষে আরও যুক্তি তুলে ধরবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। জার্মানির এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই অভিবাসীরা তিনবার সীমান্ত অতিক্রম করতে চেয়েছেন এবং কেবল তৃতীয়বার তারা আশ্রয় আবেদনের অধিকারের কথা বলেছেন। জার্মানিতে গত ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থি দল এএফডি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে। দলটি বিশ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। চ্যান্সেলর মেয়ার্জ মনে করেন, এএফডির উত্থান থামাতে অভিবাসন ইস্যুতে নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
 

প্যানেল মজি

×