
ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মুক্তিপণ দিয়ে আইয়ান সাদাবকে(৫) বাঁচাতে পারেনি পরিবার। মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজের চারদিন পর বাড়ির পাশে জঙ্গলে এবং পুকুরপাড় থেকে ত্রিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ফেরদৌস আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,শিশুটির তিন খন্ডমরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।গত শুক্রবার (১১জুলাই) উপজেলার পাগলা থানার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের নানা বাড়ি থেকে প্রবাসী আল আমিনের ছেলে আইয়ান সাদাব নিখোঁজ হয়। নিহত আইয়ান সাদাবের বাড়ি পাশ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বারগুড়িয়া গ্রামে। বাবা বিদেশে থাকার মা সঙ্গে নানা বাড়িতে থাকত সে।
নিহতের চাচা খলিল মিয়া জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশী সোহাগ মিয়া বাড়ির পশ্চিম পাশে গরু চড়াতে গিয়ে লাশের সন্ধান পায়।
রাখাল সোহাগ মিয়া বলেন, পুকুর পাড়ে গরুকে বেঁধে রাখি আমি। কিন্তু গরু খাস না খেলে লাফালাফি করছিল। এসময় পাশে জঙ্গল থেকে পচাগন্ধ আসে।পরে দেখি দুই জায়গায় লাশের দু'টি খণ্ড পড়ে আছে।খবর পেয়ে স্বজনরা এসে সাদাবে লাশ শনাক্ত করেন।
নিহত আইয়ান সাদাবে নানা সুলতান মিয়া জানান,মুক্তিপণ দিয়েও নাতিকে বাঁচাতে পারলাম না। ওরা আমার অবুঝ নাতিকে মেরেই ফেলল।
সুলতান মিয়া আরও জানান,গত শনিবার বেলা ১২ টার দিকে অপরিচিতি একটি ফোন নাম্বার থেকে আমার মেয়ে সাদাবের মা'র সুমি আক্তারের কাছে মুঠোফোনে প্রথমে ২০ হাজার টাকা এবং পরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তাদের দাবি মোতাবেক প্রথমে বিশ হাজার এবং পরে আট হাজার মোট২৮ হাজার টাকা বিকাশে পাঠানো হয়। অপহরণকারী আমাকে ফোনে বলেছিল টাকা পেলে নাতিকে জীবিত গফরগাঁও রেলস্টেশন রোডের জামতলী মোড সিএনজি স্ট্যান্ডে রেখে যাবে। কিন্ত এখন নাতির লাশ পেলাম।
নোভা