ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

গত তিন বছরে ইহুদি আবাসিক ভবনের সংখ্যা বেড়ে ১৭৮

পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব বেড়েছে ৪০ শতাংশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৫ জুলাই ২০২৫

পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব বেড়েছে ৪০ শতাংশ

পশ্চিম তীরে ইহুদিদের নির্মাণ করা নতুন আবাসিক ভবন

বসতি স্থাপনের মাধ্যমে গত কয়েক দশক ধরে একটু একটু করে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখল করছে ইসরাইল। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আমলে গত তিন বছরে এই দখল কার্যক্রমে রীতিমতো উল্লম্ফন ঘটেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে সরকার গঠন করেন ইসরাইলের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির শীর্ষ নেতা নেতানিয়াহু। তারপর থেকে গত ৩ বছরে পশ্চিমতীর এলাকায় ইহুদি আবাসন বা আবাসিক ভবনের সংখ্যা ১২৮টি থেকে বেড়ে পৌঁছেছে ১৭৮টিতে।

অর্থাৎ শতকরা হিসেবে নেতানিয়াহুর আমলে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের হার বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। খবর আনাদোলু এজেন্সির। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২। সম্প্রতি ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাসহ ১৪ জন মন্ত্রী পশ্চিম তীরে ইসরাইলি দখলকৃত এলাকা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কাছে চিঠি দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেই এই সংবাদ প্রকাশ করল চ্যানেল ১২। স্পিকার আমির ওহানা এবং যে ১৪ জন মন্ত্রী চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সবাই লিকুদ পার্টির।

সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন স্বীকৃত ৫০টি বসতির মধ্যে ১৯টি ইতমধ্যেই বিদ্যমান, সাতটি বর্তমানে চারণভূমি, ১৪টি মহল্লা এবং ১০টি এখনো কাগজে-কলমে আছে। কয়েক ডজন নতুন বসতি স্থাপনের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে বিদ্যমান বসতিগুলোতে ভবন নির্মাণের হার গত আড়াই বছরে রেকর্ড ভেঙেছে বলেও উল্লেখ করে চ্যানেল ১২। ইসরাইলি এই সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, গত আড়াই বছরে ৪১ হাজার ৭০৯টি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে নেতানিহুর নেতৃত্বাধীন সরকার।

নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগের ৬ বছরে পশ্চিমতীরে অ্যাপার্টমেন্ট স্থাপনের অনুমতি প্রদানের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। ইসরাইলের কট্টরপন্থি নেতা মেইর দিউৎশ চ্যানেল ১২কে বলেছেন, এর আগে কোনো ইসরাইলি সরকার পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকে এত উৎসাহিত করেনি। পশ্চিম তীর এলাকায় ডজন ডজন নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা, অভাবনীয় গতিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, কৌশলগত সড়ক নির্মাণ এবং একের পর এক ফিলিস্তিনি ভবন ধ্বংস এ সবের মূল লক্ষ্য আসলে পুরো পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রস্তাবকে কার্যকরভাবে নস্যাৎ করে দেওয়া, বলা হয়েছে চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনে। এদিকে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। 
শনিবার দক্ষিণ লেবাননে একটি বাড়ি, একটি কাপড়ের কারখানা ও একটি সরকারি বুলডোজার গোলা নিক্ষেপ করে ধ্বংস করেছে ইসরাইলি সেনারা। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ নাবাতিয়েহের আইতা আল শাব শহরের একটি বাড়ি, মেইস এল জাবাল শহরে একটি সরকারি বুলডোজার এবং মারজাইউন শহরের একটি কাপড়ের কারখানা ইসরাইলি গোলায় ধ্বংস হয়েছে।

×