
গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা
ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এই সময়ে ইসরাইল ২৬টি গণহত্যা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইসরাইল অন্তত ৭৩ জনকে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে ৩৩ জন বিতর্কিত যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ কেন্দ্রে সাহায্যের আশায় গিয়েছিলেন। খবর আলজাজিরার।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির ১৪ জন মন্ত্রী তাকে আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন অবিলম্বে দখলকৃত পশ্চিমতীরকে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। বুধবার সন্ধ্যায় নেতানিয়াহুকে লেখা একটি চিঠিতে তারা এ আহ্বান করেন। ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চিঠিটি শেয়ার করেছেন। দক্ষিণের আল মাওয়াসিতে একটি তাঁবুতে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১৩ জন এবং গাজা শহরের পশ্চিমে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর হামলায় ১৬ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে।
মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ৪৮ ঘণ্টায় হামলাগুলো মূলত আশ্রয়কেন্দ্র ও গাদাগাদি করে থাকা বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপর চালানো হয়েছে। বিশ্রামকেন্দ্র, সাধারণ ফিলিস্তিনি পরিবার, স্থানীয় বাজার, গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ও খাদ্য খুঁজতে থাকা ক্ষুধার্ত মানুষের ওপরও হামলা হয়েছে। আলজাজিরার রিপোর্টার তারেক আবু আজ্জোম বলেন, মানুষ বলছে তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ছিল কিছু খাবার পাওয়ার আশায়। কিন্তু হঠাৎই গুলি শুরু হয়। এপিকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে জিএইএফ পরিচালনাকারী দুই মার্কিন ঠিকাদার জানিয়েছেন, তারা এসব অনিয়ম দেখে মর্মাহত এবং প্রকাশ্যে কথা বলছেন। তারা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রায়ই অযোগ্য, যাচাই না করা, অতিরিক্ত সশস্ত্র এবং ইচ্ছামতো কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
নরওয়ের জরুরি চিকিৎসক ও অধ্যাপক ড. ম্যাডস গিলবার্ট আল সম্পর্কে জাজিরাকে বলেছেন, জিএইচএফের কার্যক্রম ইসরাইলি দখলদার বাহিনী ও সরকারের জাতিগত নির্মূল ও গণহত্যার পরিকল্পনার অংশ। গাজায় ক্ষুধা নিবারণের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন।