ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গোল্ডেন ভিসা

বিদেশিদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী আবাসনের অনুমতি দিচ্ছে উজবেকিস্তান!

প্রকাশিত: ১৪:৪৯, ২৫ মে ২০২৫

বিদেশিদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী আবাসনের অনুমতি দিচ্ছে উজবেকিস্তান!

ছবিঃ সংগৃহীত

উজবেকিস্তান ২০২৫ সালের ১ জুন থেকে ধনাঢ্য বিদেশিদের জন্য ‘গোল্ডেন ভিসা’ বা দীর্ঘমেয়াদি রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছে। এই ভিসার মাধ্যমে বিদেশি নাগরিক ও রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তিরা তুলনামূলক সহজ প্রক্রিয়ায় পাঁচ বছরের আবাসনের অনুমতি (রেসিডেন্স পারমিট) পাবেন।

এই কর্মসূচির আওতায়, বিদেশিদের থেকে প্রাথমিকভাবে ২,৫০,০০০ ডলার এবং প্রতিটি পরিবারের সদস্যের (যেমন—সঙ্গী, সন্তান বা বাবা-মা) জন্য অতিরিক্ত ১,৫০,০০০ ডলার পরিশোধ করলেই এই পাঁচ বছরের আবাসন অনুমতি মিলবে।

২০২৫ সালের ১৮ এপ্রিল উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়য়েভ একটি প্রেসিডেন্টিয়াল ডিক্রি (PF-67) স্বাক্ষর করেন, যার ভিত্তিতে এই নতুন রেসিডেন্স প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হলো—দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, শিল্প ও বাণিজ্যিক নীতিমালা উন্নত করা এবং রপ্তানি খাতে সমর্থন জোগানো।

পুরোনো নীতির ধারাবাহিকতায় নতুন প্রস্তাবনা

উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগেও ২০১৯ সাল থেকে উজবেকিস্তান ১০৯টি দেশের নাগরিকদের আবাসন সুবিধা দিয়ে আসছে যদি তারা নির্দিষ্ট মূল্যের রিয়েল এস্টেট কেনেন। সে সময় রাজধানী তাশখন্দ এবং এর আশেপাশে বাড়ির দাম ছিল ১,০০,০০০ থেকে ৪,০০,০০০ ডলারের মধ্যে। পরে ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট রিয়েল এস্টেট মূল্যের শর্ত কিছুটা শিথিল করেন, বিশেষত রাজধানীর ক্ষেত্রে যা ৩,০০,০০০ ডলারে নামিয়ে আনা হয়।

একই সঙ্গে, বিদেশিরা তখন থেকে কোনো আবাসন পারমিট ছাড়াই রাজধানীতে ১,৫০,০০০ ডলার এবং অন্যান্য অঞ্চলে ৭০,০০০ ডলারের রিয়েল এস্টেট কিনতে পারতেন।

চূড়ান্ত নিয়ম আসছে শিগগিরই

এই কর্মসূচি কার্যকর হওয়ার আগে কিছু বিস্তারিত নিয়ম কানুন সরকার নির্ধারণ করে দেবে। এর মধ্যে থাকবে—

  • অর্থ জমা দেওয়ার জন্য ট্রেজারি বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ
  • আবেদন প্রক্রিয়ার সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • পাঁচ বছরের পর পুনঃনবায়ন নীতিমালা
  • অর্থপাচার রোধে সংশ্লিষ্ট নথি
  • এই আবাসনের সময়কাল নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য সময় হিসেবে গণ্য হবে কি না, তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে গোল্ডেন ভিসা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এ ধরনের ‘গোল্ডেন ভিসা’ বা ‘রেসিডেন্স বাই ইনভেস্টমেন্ট’ কর্মসূচি চালু আছে। এসব প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য হলো—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। তবে এসব উদ্যোগকে কখনো কখনো দুর্নীতি, কর ফাঁকি ও অর্থপাচারের মতো অভিযোগের সঙ্গেও যুক্ত করা হয়।

যদিও উজবেকিস্তানের নতুন এই কর্মসূচিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গোল্ডেন ভিসা’ বলা হয়নি, কিন্তু এর কার্যপ্রক্রিয়া বিশ্বের অন্যান্য দেশ চালু করা রেসিডেন্স বাই ইনভেস্টমেন্ট স্কিমগুলোর সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে।
 

মারিয়া

×