
ছবিঃ সংগৃহীত
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার অধিকার বাতিল করল ট্রাম্প প্রশাসন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করার ক্ষমতা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দপ্তর।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সচিব ক্রিস্টি নোম , হার্ভার্ড “আইন না মানার” কারণে তাদের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম (SEVP) সনদ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিভাগটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। তিনি বলেন, “এটি দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হোক।”
হার্ভার্ড এই সিদ্ধান্তকে “অবৈধ” বলে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, “আমরা হার্ভার্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের থাকার অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হার্ভার্ড সম্প্রদায় ও জাতির জন্য গভীর ক্ষতির কারণ হবে এবং আমাদের একাডেমিক ও গবেষণা মিশনকে বিঘ্নিত করবে।”
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ডে প্রায় ৬,৭০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল, যা মোট শিক্ষার্থীর ২৭%। এই ঘোষণা ক্যাম্পাসে তীব্র উদ্বেগ এবং ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। অনেক শিক্ষার্থী তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষার্থী সারা ডেভিস বলেন, “আমরা স্নাতক হবার মাত্র পাঁচ দিন আগে এই খবর পেলাম। এর প্রভাব অনেক বড় হতে পারে – বিশেষ করে যারা আমেরিকায় থেকে কাজ করতে চায়।” সুইডেনের ৩২ বছর বয়সী ছাত্র লিও গেরডেন বলেন, “আমাদেরকে রাজনৈতিক যুদ্ধে পণ্যের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত অমানবিক।”
হার্ভার্ডের পাশাপাশি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় চাপের মুখে কিছু দাবি মেনে নিয়েছে, তবে হার্ভার্ড প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে আইনি চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পাঁচ বছরের শৃঙ্খলাজনিত রেকর্ড, ভিডিও, অডিও এবং “অবৈধ” বা “হিংসাত্মক” কর্মকাণ্ডের প্রমাণ দিতে বলেছে। হার্ভার্ডকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি পূরণ করতে বলা হয়েছে, অন্যথায় সনদ বাতিল বহাল থাকবে।
নোম আরও বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত হার্ভার্ড সরকারের দাবি পূরণ না করে, ততক্ষণ তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করার অধিকার থাকবে না।”
সূত্র: বিবিসি
নোভা