ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জে ১০টি ডাকাতিসহ ২২ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥

প্রকাশিত: ১৪:১০, ২৩ মে ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে ১০টি ডাকাতিসহ ২২ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকা থেকে ১০টি ডাকাতিসহ ২২টি মামলার আসামি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার আব্দুল হালিম ওরফে নাক বোচা হালিম ওরফে আলিমকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। আব্দুল হালিম বাদল বাহিনীর প্রধানও।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত বোচা হালিম বরগুনা জেলার সদর থানার জাকির তবক গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ চৌকিদারের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন সস্তাপুর (গাবতলার মোড়) এলাকার ব্যবসায়ী ঢাকা টেক্সটাইলের মালিক রেজাউল করিম মালার বসত বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যকে হাত-পা, মুখ বেঁধে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ আনুমানিক সাড়ে ৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মালার ছেলে মো. আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ফতুল্লায় থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আনতে র‍্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। উক্ত মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মৌচাক বাস স্টেশন এলাকা থেকে বোচা আলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক আরো জানান, ডাকাত সর্দার নাক বোচা হালিমের ভাষ্যমতে সে এবং তার দল ২০১২ সাল থেকে অদ্যাবধি বিভিন্ন জেলায় জেলায় ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা বিভিন্ন সময়ে শহরের ভালো বাড়ি এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের বাসা বাড়িকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এসব ডাকাতির কার্যক্রম করে আসছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার দলে ৭-১৫ জন সদস্য রয়েছে যাদের প্রায় সবাই বরগুনা জেলার সদর থানা এবং বরগুনা জেলার আমতলি থানার স্থায়ী বাসিন্দা। কিন্তু তারা বেশিরভাগ সময় রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও মুন্সিগঞ্জ জেলাসমূহে তাদের ডাকাতি কার্যক্রমে লিপ্ত ছিল।

ডাকাত সর্দার হালিমের ভাষ্যমতে, ডাকাতি কাজে তারা আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টি ডাকাতি, অস্ত্র আইন মামলায় ২টি, হত্যা চেষ্টা মামলায় ৪টি, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ২টি, মাদক মামলায় ২টি, মানবপাচার মামলায় ১টিসহ সর্বমোট ২২টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও সে গত ২০১২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১৫টি ডাকাতির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে জানায়। সে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে আরও স্বীকার করে যে, উক্ত ডাকাতির লুষ্ঠিত মালামাল থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ভাগ পেয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে র‍্যাব-১১’র কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সজিব

×