ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শ্রীপুরে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে মারধর, ৬ দিন পর মৃত্যু

মোস্তফা কামাল প্রধান, শ্রীপুর, গাজীপুর ,

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ২৩ মে ২০২৫

শ্রীপুরে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে মারধর, ৬ দিন পর মৃত্যু

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।

শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মারধর ও নির্যাতনের ৬ দিন পর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে আনোয়ার হোসেন মারা যান। এর আগে শনিবার (১৭ মে) একই গ্রামের কাজল ও তার স্বজনেরা তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। আনোয়ার হোসেন কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন।

নিহত আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিয়াদ হোসেন বলেন, অভিযুক্ত কাজল তার বাবার কাছ থেকে বছরে ধান দেওয়ার শর্তে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। বারবার টাকা ফেরত চাইলেও তিনি দিচ্ছিলেন না। মাস খানেক আগে কাজলের কাছে তার বাবা টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তখন শ্রীপুর থানায় কাজলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। সে সময় টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে বিষয়টি মীমাংসা হয়। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী টাকা ফেরত না দেওয়ায় তার বাবা গত শনিবার (১৭ মে) কাজলের মহিষ নিয়ে চলে যেতে থাকেন। রাস্তা থেকে তার বাবাকে ধরে এনে কাজল ও তার লোকজন মারপিট করেন। এ সময়ে গাছে বেঁধে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়।

রিয়াদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “তার বাবার বুকের উপর উঠে অমানুষিক নির্যাতন চালানোর ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ৮টায় তার বাবার মৃত্যু হয়।”

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বলেন, “বছরে ৫ মণ ধান দেওয়ার শর্তে আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নেন কাজল। আনোয়ার হোসেন কাজলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে কাজল সময় চান। পরে মহিষ বিক্রি নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাতে অসুস্থ আনোয়ার হোসেনকে স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যেহেতু নিহতের পরিবারের অভিযোগ মারধরে আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে তাই আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বিষয়টি এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আকারে থাকবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ জানার পর মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

মিরাজ খান

×