
ছবি: প্রতিকী
ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় আমেরিকার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩০ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় যেন সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতা বহুজাতিক কোম্পানি বোয়িং-এর সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তাদের দাবি বোয়িং ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সামরিক চুক্তিতে জড়িত। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিযুক্ত করে বলেছে, বোয়িং-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ “ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার সরাসরি অংশীদার।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুখ ঢাকা বিক্ষোভকারীরা ভবনের প্রবেশপথ অবরোধ করে এবং বাইরে দুটি ডাস্টবিনে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ভবনে প্রবেশ করে “প্রায় ৩০ জনকে” গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, সম্পত্তি ধ্বংস, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্টুডেন্ট গ্রুপ Students United for Palestinian Equality and Return (SUPER UW)-এর ব্যানারে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত ম্যানুষের পক্ষে এই বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের Interdisciplinary Engineering Building এ অবস্থান নেয়।
বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের “মাস্ক পরিধান এবং শনাক্তযোগ্য বৈশিষ্ট্য ঢেকে রাখতে” আহ্বান জানায়। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন এক বিবৃতিতে জানায়, SUPER UW একটি “স্থগিতকৃত শিক্ষার্থী সংগঠন।” তারা বিক্ষোভকারীদের “ইহুদিবিদ্বেষী” বলে দাবি করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, Interdisciplinary Engineering Building ভবনটি সকল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীর জন্য একাডেমিক কেন্দ্র। এই ভবন নির্মাণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিগত অনুদান রয়েছে, যার মধ্যে বোয়িং কোম্পানির ১ কোটি ডলারের অনুদানও রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভবনটিকে আখ্যা দিয়েছে: “UW ক্যাম্পাসের বোয়িং অর্থায়িত ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন।”
এর আগেও গত বছর গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ধরনের প্রো-প্যালেস্টাইন আন্দোলন হয়েছিল। সেসময়ও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বোয়িং-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন এবং ইসরায়েলি বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় ভিসা বাতিলের ঘটনাও ঘটেছে।
সূত্র: https://www.forbes.com
রবিউল