ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

ফিলিস্তিনে হামলার পর লুটপাট করে বিক্রি করছে ইসরাইলি বাহিনী

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ৭ মার্চ ২০২৫

ফিলিস্তিনে হামলার পর লুটপাট করে বিক্রি করছে ইসরাইলি বাহিনী

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে ইসরায়েলি সেনারা গাজা ও লেবাননের কিছু এলাকায় অভিযান চালানোর সময় সম্পদ লুটপাট করছে এবং সেগুলো পরে বিক্রি করছে। বিশেষ করে গাজার যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুটের ঘটনা ব্যাপকভাবে নথিভুক্ত হয়েছে।

কী ধরনের লুটপাটের কথা বলা হচ্ছে?

  • স্বর্ণ, গহনা ও নগদ অর্থ: ফিলিস্তিনি ও লেবাননের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে।
  • ইলেকট্রনিক সামগ্রী: মোবাইল, ল্যাপটপ, টেলিভিশন, এমনকি গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি।
  • গাড়ি ও যানবাহন: কিছু ক্ষেত্রে গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনও দখল করে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
  • প্রাচীন নিদর্শন ও ঐতিহাসিক মূল্যবান বস্তু: বিশেষ করে লেবাননের দক্ষিণ অঞ্চলে।

লুটের পর কী হয়?

  • এসব লুট করা সম্পদ ইসরায়েলের ভেতরে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়।
  • কিছু ক্ষেত্রে সেনারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।
  • আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

কেন এই লুটপাট?

  • দীর্ঘ যুদ্ধ ও দখলদারিত্বের সংস্কৃতি: ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে অনেকেই ফিলিস্তিনি সম্পত্তিকে ‘যুদ্ধের লুট’ হিসেবে দেখে।
  • অর্থনৈতিক প্রলোভন: লুট করা সম্পদ বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ।
  • প্রতিশোধ ও নিপীড়নের অংশ: ফিলিস্তিনি জনগণকে সর্বস্বান্ত করা।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

  • জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই ধরনের লুটপাট ও সম্পদ আত্মসাৎকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।
  • তবে ইসরায়েলি সরকার সাধারণত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়।

সাজিদ

×