ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

হুতির তাড়া থেকে বাঁচতে নয়, রণতরি থেকে লোহিত সাগরে ডুবলো মার্কিন যুদ্ধবিমান

প্রকাশিত: ১৬:০১, ৯ মে ২০২৫; আপডেট: ১৬:০২, ৯ মে ২০২৫

হুতির তাড়া থেকে বাঁচতে নয়, রণতরি থেকে লোহিত সাগরে ডুবলো মার্কিন যুদ্ধবিমান

ছবিঃ সংগৃহীত

 

লোহিত সাগর ক্রমশ মার্কিন যুদ্ধবিমান ও নৌযানের জন্য এক বিপজ্জনক স্থান হয়ে উঠছে। সম্প্রতি, এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো লোহিত সাগরে একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান হারানোর ঘটনা ঘটল। বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান থেকে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। যদিও হামলা বা বাহ্যিক কোনো কারণ ছিল না, বিমানটির গতি কমানোর প্রক্রিয়া কাজ না করার কারণে এটি সাগরের গভীরে চলে যায়।

এটি ছিল একটি শক্তিশালী এফএ-18এফ সুপার হর্নেট মডেলের যুদ্ধবিমান, যা ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমানের মতোই অত্যাধুনিক, তবে তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। বিমানটি সমুদ্রে পড়লেও পাইলটরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন এবং তাদেরকে উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার দিয়ে রণতরীতে ফিরিয়ে আনা হয়। এফএ-18এফ সুপার হর্নেট বিমানটির দাম প্রায় ৭ কোটি ডলার। এর আগে ২৮ এপ্রিল ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান থেকে আরেকটি সুপার হর্নেট বিমান একইভাবে লোহিত সাগরে পড়ে যায়।

গত বছর, ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান রণতরী থেকে আরেকটি এফএ যুদ্ধবিমান হারানোর ঘটনা ঘটে, যখন একটি ভুল কারণে ইউএসএস গেটিসবার্গ গাইডেড মিসাইল ক্রুজার তা ভূপাতিত করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, মার্কিন রণতরী হ্যারি ট্রুম্যান ভূমধ্য সাগরে মিশরের সাইদ বন্দরের কাছে একটি বাণিজ্যিক জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়েছিল, যা ব্যাপক ক্ষতি সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। যুদ্ধবিমান হারানোর পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র ৭টি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনও হারিয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩ কোটি ডলার। গত ১৫ মার্চ থেকে চলতি বছরের মধ্যে, মার্কিন সেনাবাহিনী ব্যাপক সামরিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

মার্চের মাঝামাঝি থেকে, মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের উপর ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও হুথিরাও পাল্টা হামলা চালিয়ে তাদের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। এর পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর হুথির হামলা অব্যাহত রেখেছে লোহিত সাগরে।

এইসব ঘটনার মধ্যে, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের ওপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটছে না, তবে এতে তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।

মারিয়া

×