ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

কোরবানি সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হচ্ছে গবাদিপশু

সংবাদদতা, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ৯ মে ২০২৫

কোরবানি সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হচ্ছে গবাদিপশু

.

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত চট্টগ্রামের চন্দনাইশের খামারিরা। এবার চন্দনাইশে প্রায় ৪৭ হাজার গবাদি পশু কোরবানিযোগ্য করে গড়ে তোলা হয়েছে। এবার ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন খামারিরা।
আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য উপজেলার ১১৫টির অধিক ছোট-বড় গরুর খামার, ৪০টির অধিক ছাগলের খামার, ৩টি ভেড়ার খামারে গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ সকল খামারে ঈদ মৌসুমে বিক্রির জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৬৫টি গবাদি পশু । এরমধ্যে ২২ হাজার ৮৭০ ষাঁড়, আড়াই হাজারের অধিক বলদ, দেড় হাজারের অধিক গাভী-বকনাসহ ২৭ হাজারের অধিক গরু, ১ হাজার ৮৬০ মহিষ, প্রায় ১৭ হাজার ছাগল, ১ হাজার ৩ শতাধিক ভেড়া। ক্ষতিকর হরমোন বা ইনজেকশনের ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদি পশু পালন করছেন খামারিরা। এবার পশুর ভালো দাম পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। এলাকার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরে পশু বিক্রি করতে নিয়ে যাবেন অনেক খামারি।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ সদরের রাজিব ডেইরি ফার্মের মালিক রাজিব দেব নাথ বলেছেন, ৪৫ হাজার টাকায় তিন বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান জাতের বেশ কয়েকটি গরু কিনে কোরবানির ঈদের জন্য মোটাতাজা করেছেন। ষাঁড়কে কাঁচা ঘাস, খৈল, গমের ভুসি, চালের পালিশ (ধান ভাঙানোর সময় চালের গায়ে থাকা ভিটামিনসসৃদ্ধ গুঁড়া) নিয়মিত খাওয়ানো হয়। নিয়মিত গোসল করানো হয়। এ বছর ৩০টি গরু, ২৫টি ছাগল মোটাতাজা করছেন তিনি। মানভেদে প্রতিটি গরুর দাম ১ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে বলে তিনি মনে করেন। গরু বিক্রি করে এবার তিনি লাভের আশা করছেন।
সাতবাড়িয়া সাঙ্গু ডেইরি ফার্মে ৩ শতাধিক, গরু বেপারির নিকট অর্ধশতাধিক, সাতবাড়িয়া বটতল ইদ্রিস ডেইরি ফার্মে প্রায় ১শ’, ছৈয়দাবাদা গাউছিয়া ডেইরি ফার্মে অর্ধশতাধিক গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। এ সকল গরু ১ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন মালিকেরা। খামারের মালিকেরা বলেন, ভালো দাম পেলে দেশী খামারিরা গরু পালনে আগ্রহী হবেন। ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে না।  উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডা. ফেরদৌসী আক্তার বলেছেন, উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে ছোট-বড় দেড় শতাধিক গরু ছাগলের খামারে ৪৬ হাজার ৯৬৫টি গবাদি পশু কোরবানির ঈদের জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে, যা এ এলাকার চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। পশুর শরীরে যাতে ক্ষতিকর ইনজেকশন পুশ না করতে পারে সেদিকে তাদের নজর রয়েছে বলে জানান। একইসঙ্গে খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করলে দেশীয় খামারিরা লাভবান হবেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্যানেল

×