
ছবিঃ সংগৃহীত
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা মুক্ত এ বাংলাদেশে সংগ্রামী মাটি চট্টগ্রামে জন্ম দিয়েছে লাখো সৈনিকের। আমাদের মহান নেতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল এ চট্টগ্রাম থেকে। এজন্য বীর চট্টলার মানুষকে আমরা আলাদা চোখে দেখি। আমরা ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চাই না।’ চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ ফ্যাসিস্ট হাসিনা ১৫ বছর পুরো জাতির ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রিয়নেত্রীকে ৬ বছর কারাগারের অন্ধাকারে বন্দি রেখেছিল। হাজার হাজার তরুণ প্রাণ দিয়েছে। ২০ হাজারের ওপর মানুষ হত্যা করেছে। আমাদের তরুণ নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরতে দেননি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের পরিকল্পনায় তরুণ নেতারা চট্টগ্রামে অভাবনীয় সমাবেশ করেছে।
এ সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনা পালিয়েছে। কিন্তু তার প্রেত্মারা এখনও আছে। তারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশে আবার তাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠার। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র আমাদের তরুণদের সামনে টিকে থাকতে পারবেনা। কিন্তু দুভার্গ্য হচ্ছে আমরা যাদের দায়িত্ব দিয়েছি একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে তারা সঠিকভাবে কাজটি এখনও করতে পারছে না।’
সমাবেশে মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এ মাঠে আছি তারা নয়, আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে দেখতে চাই না। কারণ এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এদেশের মানুষকে নির্যাতন করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বাকশাল করেছে। সব পত্রিকা বন্ধ করেছিল। শুধুমাত্র ৪টি পত্রিকা খোলা রেখেছিল। অর্থনীতি বন্ধ করে দিছিল।’
দেশ সংস্কারের প্রশ্নে, এ দেশ প্রথম সংস্কার করেন জিয়াউর রহমান। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র আনেন তিনি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন, গার্মেন্টস খাত এবং বিদেশে মানবসম্পদ পাঠানো সব কিছুর শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি ।
আরশি