
ছবি: জনকণ্ঠ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকি জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
আজ শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২ বছর পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আমরা আমাদের সরকারের বিবৃতি দিয়েছি। আজ রাতে মিটিং আছে, সেখানে আইসিটি অ্যাক্টের অধ্যাদেশ প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে।”
শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টদের পতনে ভারতের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সে কারণে তারা আমাদের কয়েকটি মিডিয়ার সম্প্রচার সে দেশে বন্ধ করেছে। আমরা তা করতে চাই না। অনেক দিন ধরেই তারা আমাদের নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই, বরং জোরে কথা বলে নাটক করে বিনোদন দেওয়াটাই যেন তাদের সাংবাদিকতা। সেক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিকতা অনেক দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয়। পক্ষান্তরে, বাংলাদেশের যে মিডিয়াগুলো বন্ধ করা হয়েছে তারা অনেক ভালো সংবাদ পরিবেশন করত। এটি দুর্ভাগ্যজনক।”
তিনি আরও বলেন, “কিছু মিডিয়া স্বৈরাচারী শাসকের টুলস ছিল। বিগত সময়ে কিছু কিছু মিডিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়েছে, বিরোধীদলের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। অনেক মিডিয়া আওয়ামী লীগের টুলস হিসেবে কাজ করেছে। এখন আমরা চাই আমাদের সাংবাদিকতা দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয় হোক। এতে মিডিয়ারই লাভ। কেননা সামনে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে, তখন আপনারা স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারবেন। এখনই আপনারা আপনাদের অবস্থান গড়ে তুলুন।”
ভুয়া মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা কাউকে কোনো মামলা দিয়ে হয়রানি করতে বিশ্বাসী না। আমরা কি কোনো মামলা দিচ্ছি? মামলা তো দিচ্ছে রাজনৈতিক দল। আমাদের সরকার বলে দিয়েছে, তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কাউকে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং-এর সদস্য ও পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এস এম রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন।
এর আগে “এসো মিলি প্রাণের টানে, সম্প্রীতির বাঁধনে” স্লোগানে বিদ্যালয়টির প্রথম পুনর্মিলনীর শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলমসহ অতিথিরা অনুষ্ঠানে পৌঁছালে তাদেরকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।
পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আসেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাক্তনরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ। এলাকার সাধারণ মানুষও এই উৎসবে সামিল হন।
এম.কে.